মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
গত ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে হেরেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। এ বার হার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। পর পর দু’টি ম্যাচে হেরে গেল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল। প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই তোলে ১৬৫ রান। ১১ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতল হায়দরাবাদ।
টস জিতে চেন্নাইকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। চতুর্থ ওভারে ভুবনেশ্বর কুমার তুলে নেন রাচিন রবীন্দ্রের উইকেট। ৯ বলে ১২ রান করেন তিনি। ২৫ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় চেন্নাই। বেশি ক্ষণ ক্রিজ়ে টিকতে পারেননি অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ও। তিনি ২১ বলে ২৬ রান করে আউট হয়ে যান। দুই ওপেনারকে হারানোর পর এক দিক ধরে রেখেছিলেন অজিঙ্ক রাহানে। উল্টো দিকে বড় শট খেলতে শুরু করেন শিবম দুবে।
শিবমকে চেন্নাই চার নম্বরে ব্যাট করতে পাঠাচ্ছে। উপরের দিকে ব্যাট করার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। শুক্রবার চারটি ছক্কা মারেন শিবম। তাঁর মারা ছক্কাগুলো দেখে উচ্ছ্বসিত যুবরাজ সিংহ। ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার বলেন, “এত সহজ ভাবে শিবম শটগুলো মারছে দেখে ভাল লাগছে। আমার মনে হয় ওকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে রাখা উচিত। যে কোনও সময় খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে ও। সেই ক্ষমতা ওর আছে।” শুক্রবার কামিন্সের দেওয়া মন্থর বাউন্সার বুঝতে পারেননি শিবম। অর্ধশতরান থেকে ৫ রান দূরে ক্যাচ তুলে দেন ভুবনেশ্বর কুমারের হাতে।
রাহানে এ দিন নিষ্প্রভ ছিলেন। ৩০ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। এক দিক ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু শিবম আউট হওয়ার পরেই সাজঘরে ফিরে যান রাহানে। জয়দেব উনাদকটের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
ড্যারিল মিচেল এবং রবীন্দ্র জাডেজা মিলে ৩৩ রান যোগ করেন। কিন্তু তাঁরা ২৭টি বল খেলেন। এই মন্থর ইনিংস চেন্নাইয়ের রানের গতি কমিয়ে দেয়। শেষ তিনটি বল বাকি থাকতে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি মাঠে নামেন। হায়দরাবাদ স্টেডিয়ামের চিৎকার শুনে তখন মনে হচ্ছিল খেলা চেন্নাইয়ে হচ্ছে। ধোনি এক রানের বেশি করতে পারেননি। চেন্নাইয়ের ইনিংসও শেষ হয়ে যায় ১৬৫ রানে।
২৭ মার্চ এই হায়দরাবাদের মাঠেই ২৭৭ রান তুলেছিলেন ট্রেভিস হেডেরা। সেই মাঠে ১৬৬ রানের লক্ষ্য এমন কিছু বড় নয়। অভিষেক শর্মা যে ভাবে শুরু করেছিলেন, তাতে খুব সহজেই জয়ের পথে দৌড় শুরু করে হায়দরাবাদ। অভিষেক ১২ বলে ৩৭ রান করেন। দ্রুত রান তুলছিলেন তিনি। অন্য ওপেনার ট্রেভিস হেড ২৪ বলে ৩১ রান করেন। ৩৬ বলে ৫০ রান করেন এডেন মার্করাম। এই তিন ব্যাটারের দাপটে ১৪ ওভারে ১৩২ রান তুলে নেয় হায়দরাবাদ।
সেখান থেকে পরের ৩৪ রান তুলতে ২৫টি বল লাগল হায়দরাবাদের। শাহবাজ় আহমেদ এবং হেনরিখ ক্লাসেন শুরুর দিকে বড় শট খেলতে পারেননি। বলা ভাল চেন্নাইয়ের মইন আলি এবং রবীন্দ্র জাডেজা তাঁদের বড় শট খেলতে দেননি। রানের গতিতে লাগাম পরিয়ে দিয়েছিলেন এই দুই স্পিনার। কিন্তু খুব বেশি রান বাকি না থাকায় জিততে অসুবিধা হয়নি হায়দরাবাদের। ১১ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় তারা।