ইডেন ম্যাচের জার্সি উন্মোচন করতে এসে ক্রুণাল বুঝিয়ে দিয়েছেন, আলাদা করে রিঙ্কু সিংহকে নিয়ে তাঁদের কোনও পরিকল্পনা নেই। ছবি: পিটিআই
শনিবার কেকেআরের বিরুদ্ধে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে খেলতে নামছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। প্লে-অফ নিশ্চিত করতে গেলে লখনউকে সেই ম্যাচে জিততেই হবে। কলকাতার কাছেও ম্যাচের গুরুত্ব ততটাই। তবে কলকাতা যদি জেতেও বাকিদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। ম্যাচের আগে লখনউ অধিনায়ক ক্রুণাল পাণ্ড্য স্পষ্ট জানালেন, কেকেআরকে মোটেই হালকা ভাবে নিচ্ছেন না তাঁরা।
ইডেন ম্যাচের জার্সি উন্মোচন করতে এসে ক্রুণাল বুঝিয়ে দিয়েছেন, আলাদা করে রিঙ্কু সিংহকে নিয়ে তাঁদের কোনও পরিকল্পনা নেই। তাঁদের কাছে কেকেআরের ১১ জনই রিঙ্কু। ক্রুণাল বলেছেন, “বাকি প্রতিপক্ষের মতো কেকেআরকেও আমরা সমীহ করছি। ওদের ঘরের মাঠে খেলা। রিঙ্কুকে নিয়ে আলাদা করে পরিকল্পনা নেই। কারণ বিপক্ষের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে নিয়েই আমরা ভাবছি। এই পর্যায়ে খেলতে নামলে কাউকে হালকা ভাবে নেওয়া যায় না। রিঙ্কুও তাই। কেকেআরের হয়ে গোটা মরসুমে ও দারুণ খেলেছে এবং দলকে সাহায্য করেছে। আমরা কেকেআরকে মোটেই হালকা ভাবে নিচ্ছি না।”
কেএল রাহুল চোট পাওয়ায় মাঝপথে নেতৃত্বের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হয়েছে ক্রুণালকে। রাহুলের প্রতি তিনি যেমন সমব্যথী, তেমনই অধিনায়ক হিসাবে নিজের মানসিকতা নিয়েও কথা বলেছেন ক্রুণাল। তাঁর কথায়, “কেএল রাহুলকে হারানোটা আমাদের কাছে বড় ধাক্কা। অধিনায়ক এবং ক্রিকেটার দু’ভাবেই। যা হয়েছে তার জন্যে আমরা ব্যথিত। কিন্তু আমাদের এগিয়ে যেতেই হবে। আমাদের গোটা দল ঐক্যবদ্ধ। চেষ্টা করছি প্রতিটি ম্যাচেই নিজেদের সেরাটা দেওয়ার।”
ক্রুণালের সংযোজন, “দলের সহ-অধিনায়ক থাকার সময়ে আমার যা দায়িত্ব ছিল সেটা পালন করার চেষ্টা করেছি। অধিনায়ক হয়েও সেই মনোভাব বদলায়নি। সবার থেকে কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করি। তবে নিজের মতোও সিদ্ধান্ত নিই। তাতে দল এবং নিজের উন্নতি হয়। অনেক পরিশ্রম করে ক্রিকেটার হয়েছি। অধিনায়ক হওয়ার ক্ষেত্রেও একই রকম পরিশ্রম করি।”
ভাই হার্দিক পাণ্ড্য দু’মরসুম ধরে গুজরাত টাইটান্সের অধিনায়ক। দেশকেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর থেকে কি কোনও পরামর্শ পেয়েছেন? একটু হেসে ক্রুণালের উত্তর, “হার্দিকের সঙ্গে শুধু ক্রিকেট নিয়ে নয়, আরও অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আমি এবং হার্দিক একটা প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি। দলের নেতা হই বা না হই, নিজে থেকে দায়িত্ব নেওয়ার চেষ্টা করেছি। সাধারণ ক্রিকেটার হিসাবে খেললেও অধিনায়কের মতো ভাবার চেষ্টা করেছি। কী ভাবে দলে অবদান রাখা যায় এবং জেতা যায়, সেটা নিয়ে ভেবেছি। কেএলকে হারানো আমাদের কাছে ধাক্কা ঠিকই। কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে দায়িত্ব পালন করা একটা চ্যালেঞ্জ।”
ক্রুণাল জানালেন, শুধু হার্দিক নয়, নেতৃত্ব শিখেছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির থেকেও। বলেছেন, “এমএস আমার মতে ভারতের সেরা অধিনায়ক। ওকে দেখেও অনেক কিছু শেখা যায়। আমিও অনেক কিছু শিখেছি। কিন্তু নিজের মতো করে ভাবনাচিন্তা করতে পছন্দ করি। নিজে সেই জিনিসগুলো দেখানোর চেষ্টা করি।”
কেকেআরকে দু’বার ট্রফি জিতিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। শনিবার তিনি থাকবেন লখনউ শিবিরে। গম্ভীরের পরামর্শ প্রসঙ্গে ক্রুণাল বললেন, “গম্ভীরকে আমাদের শিবিরে পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। দু’বার ট্রফি জেতাই নয়, আইপিএলে ১০-১২ বছর ধরে খেলেছে। কাছ থেকে ক্রিকেটটা অনেক দিন দেখেছে। সাজঘরে গম্ভীর থাকলে সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক সহজ হয়।”