রিঙ্কু সিংহ। —ফাইল চিত্র।
ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলের সব থেকে বড় চমক রিঙ্কু সিংহ। কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের এই বাঁ হাতি ক্রিকেটারকে দলে জায়গা দেওয়া হয়নি। এ বারের আইপিএলে খুব বেশি রান করতে পারেননি রিঙ্কু। বেশি ব্যাট করার সুযোগও পাননি তিনি। তা হলে কি রিঙ্কুর সুযোগ না পাওয়ার জন্য কেকেআর দায়ী? এই প্রশ্নের জবাব দিলেন দলের সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে নায়ারকে প্রশ্ন করা হয় রিঙ্কুর সুযোগ না পাওয়া নিয়ে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আইপিএলে পারফরম্যান্সের উপর রিঙ্কুর সুযোগ পাওয়া, না পাওয়া নির্ভর করছে না। তিনি বলেন, “রিঙ্কু এ বারের আইপিএলেও ভাল খেলেছে। একটা ম্যাচ বাদে বাকি সব ম্যাচে রান করেছে। দেখতে হবে যে রিঙ্কু আমাদের দলে ফিনিশারের ভূমিকায় রয়েছে। বেশির ভাগ ম্যাচে ৯-১০টা বল খেলার সুযোগ পায়। তার মধ্যেই নিজের কাজটা করে রিঙ্কু। ও কত রান করল সেটা বড় কথা নয়। কোন পরিস্থিতিতে, কোন ভূমিকায় রান করল সেটাও তো দেখতে হবে। নিজের দায়িত্ব ও ভাল ভাবে পালন করেছে। তার পরেও সুযোগ পায়নি বিশ্বকাপের দলে।”
নায়ারের কথা থেকে স্পষ্ট, রিঙ্কুকে না নেওয়ার নেপথ্যে কোনও কারণ ছিল না। আইপিএল তার জন্য দায়ী নয়। চলতি প্রতিযোগিতায় ১২৩ রান করলেও গত বারের আইপিএলের পর থেকে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে নিয়মিত ছিলেন রিঙ্কু। ১৫টি ম্যাচে ৩৫৬ রান করেছেন তিনি। গড় ৮৯। স্ট্রাইক রেট ১৭৬.২৪। দু’টি অর্ধশতরান করেছেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারতকে জিতিয়েছেন। ভারতীয় দলের নতুন ফিনিশার বলা হচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু তার পরেও তাঁকে বিশ্বকাপের দলে নেওয়া হয়নি।
রিঙ্কুকে না নেওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন ভারতের নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকরও। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “এটাই আমাদের আলোচনার সব থেকে কঠিন বিষয় ছিল। রিঙ্কুর কোনও দোষ নেই। সবটাই দলের ভারসাম্যের কথা মাথায় রেখে করা।” রোহিতকে বেশি বিকল্প দিতে গিয়েই রিঙ্কুকে দলে রাখা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়ে দিয়েছেন আগরকর। তিনি বলেন, “দু’জন রিস্ট স্পিনার রয়েছে। এতে রোহিতের হাতে বিকল্প বাড়বে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। রিঙ্কু রিজার্ভে রয়েছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ১৫ জনের দলে ঢোকার কত কাছে ও এসেছিল। কিন্তু দিনের শেষে আপনি ১৫ জনকেই নিতে পারবেন। তাই রিঙ্কুর জায়গা হয়নি।”
বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাননি কেকেআরের অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারও। এই খবরে হতাশ হলেও শ্রেয়সের লড়াকু মানসিকতার প্রশংসা করেছেন নায়ার। তিনি বলেন, “আমার দেখা অন্যতম ইতিবাচক মানসিকতার ক্রিকেটার শ্রেয়স। ও কোনও দিন কিছু নিয়ে অভিযোগ করে না। ওর ফিটনেস আগের থেকে ভাল হয়েছে। সেই সঙ্গে ওর মানসিকতাও আরও ইতিবাচক হয়েছে। শ্রেয়স সব সময় দলের জন্য রান করার চেষ্টা করে। এখনও সেটাই করছে।”