রোহিত শর্মা। — ফাইল চিত্র।
আইপিএলের সম্প্রচারকারী চ্যানেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রোহিত শর্মা। তাঁর অভিযোগ, বারণ করা সত্ত্বেও তাঁর কিছু কথাবার্তা ক্যামেরায় রেকর্ড করে সম্প্রচারিত হয়েছে। রোহিতের এই অভিযোগের জবাব দিলেন ‘স্টার স্পোর্টস’ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, কারও ব্যক্তিগত কথাবার্তা সম্প্রচার করা হয় না।
রোহিতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইপিএলের সম্প্রচারকারী চ্যানেলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ‘‘গত ১৬ মে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সময় ভিডিয়ো করা হয়েছিল। অনুশীলনের ছবি তোলার স্বত্ব স্টার স্পোর্টসের রয়েছে। সে সময় এক জন সিনিয়র ক্রিকেটার তাঁর বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন মাঠের ধারে দাঁড়িয়ে। সেই ছবি তোলা হলেও তাঁদের কথাবার্তা ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয়নি। তাঁদের কথা সম্প্রচারও করা হয়নি।’’ চ্যানেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট সিনিয়র ক্রিকেটার তাঁর কথা রেকর্ড না করার জন্য অনুরোধ করছেন— এই পর্যন্তই শব্দ রেকর্ড করা হয়েছিল। ম্যাচ শুরুর আগে প্রস্তুতির সব কিছু সরাসরি সম্প্রচার করার স্বত্ব রয়েছে আমাদের। তা ছাড়া এই ধরনের বিষয় আমাদের সম্পাদকীয় নীতির পরিপন্থী।’’
আইপিএলের সম্প্রচারকারী চ্যানেল কর্তৃপক্ষ রোহিতের অভিযোগ খারিজ করে নিজেদের অর্জিত অধিকারের কথা বলেছেন। তাঁদের এই ব্যাখ্যা ভারতীয় দলের অধিনায়ককে সন্তুষ্ট করেছে কি না, তা জানা যায়নি। গত রবিবার সমাজমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে রোহিত লিখেছিলেন, “ক্রিকেটারদের জীবনে এখন এত অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়েছে যে ক্যামেরা তাঁদের প্রতিটি পদক্ষেপ এবং কথাবার্তা রেকর্ড করে চলেছে। বন্ধুবান্ধব এবং সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনে বা ম্যাচের দিনে গোপনে যে কথাবার্তা বলছি তা সম্প্রচারিত হচ্ছে।” তিনি আরও লেখেন, “স্টার স্পোর্টসকে অনুরোধ করেছিলাম কথাবার্তা রেকর্ড না করতে। তবু ওরা করেছে এবং সেটা সম্প্রচার করেছে। এটা গোপনীয়তা ভঙ্গ। সবার থেকে আলাদা বিষয় দেখানো এবং (সমাজমাধ্যমে) ‘ভিউ’ আর ‘এনগেজমেন্ট’-এর প্রতি নেশা এতটাই বেড়েছে যে এটা এক দিন সমর্থক, ক্রিকেটার এবং ক্রিকেটের মধ্যে থাকা বিশ্বাস ভেঙে দেবে। আশা করি, দ্রুত শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।”
কলকাতা নাইট রাইডার্সের সহকারী কোচ অভিষেক নায়ারের সঙ্গে রোহিত কিছু ব্যক্তিগত কথা বলেছিলেন আইপিএলের ম্যাচের আগে। তাঁদের কথাবার্তার কিছু অংশ মাঠের আবহের শব্দের সঙ্গে ক্যামেরাবন্দি হয়ে যায়। যাতে রোহিতের বক্তব্যে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এক রাশ অভিমান ধরা পড়েছিল। কেকেআর সমাজমাধ্যমে দু’জনের কথাবার্তার ভিডিয়ো পোস্ট করেও মুছে দেয়। তা নিয়েই রোহিতের সঙ্গে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের সরাসরি বাগ্যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল কার্যত।