দুই ক্রিকেটারের দুই প্রতিক্রিয়া ফাইল ছবি
ইডেন গার্ডেন্সের সঙ্গে দু’জনেরই অনেক স্মৃতি জড়িয়ে। অতীতে বহু বার বাংলার হয়ে একসঙ্গে তাঁরা এই মাঠে খেলেছেন। দলকে জিতিয়েছেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। কিন্তু মঙ্গলবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচের আগে ইডেন নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে দুই মেরুতে ঋদ্ধিমান সাহা এবং মহম্মদ শামি।
ইডেনে ফেরা সম্পর্কে ঋদ্ধির উত্তর, “এখন আমার ঘরের মাঠ এখন মোতেরা স্টেডিয়াম। যে ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলি, তাদের যেটা হোম গ্রাউন্ড সেটাই আমারও। সেই হিসেবে আমি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নামছি। যে ভাবে গত কয়েক ম্যাচে খেলছি, সে ভাবেই খেলতে চাই। আলাদা করে এই মাঠে খেলার জন্য কোনও উত্তেজনা নেই।” তবে শামি একই প্রশ্নের উত্তরে বললেন, “ইডেনে ফিরতে পেরে খুব খুশি এবং উত্তেজিত। এখানেই আমার অভিষেক হয়েছিল। আমি এত ম্যাচ খেলেছি। ভারতের প্রায় সব মাঠে খেলেছি। কিন্তু ঘরের মাঠের অনুভূতি আলাদাই। ইডেনের দর্শকরাও অসাধারণ।”
গুজরাতের হয়ে ব্যাটিংয়ে ওপেন করেন ঋদ্ধি। আবার বল হাতে প্রথমেই নামতে দেখা যায় শামিকে। এত বড় ম্যাচের আগে ঋদ্ধির লক্ষ্য কী থাকবে? ঋদ্ধি বলেছেন, “আমার ভূমিকা হল পাওয়ার প্লে-তে বড় রান তোলা। সেই ভূমিকা আমি পছন্দ করি। ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতেও আমার সমস্যা নেই। যদি দলের তাতে সাহায্য হয় তা হলে কোনও অসুবিধা নেই। তখন রান পেয়ে গেলে পরের দিকের ব্যাটারদের সুবিধা হয়ে যায়। প্রতি ম্যাচে যখন খেলতে নামি তখন ব্যাটিং এবং কিপিংয়ে যাতে অবদান রাখতে পারি সেটাই আমার লক্ষ্য থাকে। তারপর ব্যক্তিগত কিছু হলে সেটাতেই খুশি। আমার কাছে আগে দল, তারপর আমি। এখন আমার লক্ষ্য শুধু কালকের ম্যাচে।”
শামি আবার বোলিং ওপেন করে পাওয়ার প্লে-তে এ বার ১১টি উইকেট নিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে বলেছেন, “অভিজ্ঞতার কারণেই এটা হয়েছে। নিজের বোলিং নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। লাইন-লেংথে জোর দিয়েছি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলতে গেলে মাথার মধ্যে অনেক কিছু ঘোরে। কখনও মনে হয় স্লোয়ার দেব, কখনও মনে হয় বাউন্সার দেব। বৈচিত্রে বেশি নজর দিই। এটা জানি বোলিং ঠিক জায়গায় করলে রান আটকানো যাবে। যদি পিচে সুইং থাকে সেটা ব্যবহার করার চেষ্টা করি।”
শুধু তাই নয়, বিরাট কোহলীকে জীবনে ছ’বার আউট করেছেন। ফাইনালে বেঙ্গালুরু উঠলে কোহলী ফের শামির প্রতিপক্ষ হতে পারে। সেই প্রসঙ্গে শামি বলেছেন, “আসলে একসঙ্গে অনেকদিন খেললে এটা হয়। আমি জানি কোথায় ওর শক্তি, কোথায় দুর্বলতা। কী ধরনের শট খেলতে পারে। তবে কত বার আউট করেছি সেটা মাথায় রাখিনি। ওর দুর্বলতা খুঁজে বের করাই আমার কাজ।”
মঙ্গলবার বিপক্ষে থাকবে জস বাটলারের মতো নাম। তাঁর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে? শামির জবাব, “কে বেশি রান করেছে সে সব নিয়ে ভাবি না। সামনে কে ব্যাট করছে তাঁর নাম দেখে খেলি না। প্রত্যেক ব্যাটারের দুর্বলতা দেখে সেই অনুযায়ী বল করার চেষ্টা করি। তা ছাড়া, রাজস্থানের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে কেমন খেলেছি সে সব মনে রাখতে চাই না। পুরনো জিনিস নিয়ে ভেবে লাভ নেই।”