Eden Gardens

কেকেআরের ‘অপছন্দের’ ইডেনকেই সেরা বাছল আইপিএল, পিচ কিউরেটর সুজনের শুভেচ্ছা মাঠকর্মীদের

আইপিএলে সেরার পুরস্কার পাওয়া ইডেনই পছন্দ হয়নি নাইট অধিনায়ক নীতীশ রানার। ইডেনের পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় মাঠকর্মীদের শুভেচ্ছা দিলেন, সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন ক্রিকেটাররা এখন অনেক বেশি অজুহাত দেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৩ ১৪:০৯
Eden Gardens

কলকাতায় ইডেনের বাইরে কেকেআরের পোস্টার। —ফাইল চিত্র।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের ঘরের মাঠ পেল সেরার পুরস্কার। আইপিএলের সেরা পিচ এবং মাঠের পুরস্কার পেল কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স ও মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে। কিন্তু আইপিএলে সেরার পুরস্কার পাওয়া ইডেনই পছন্দ হয়নি নাইট অধিনায়ক নীতীশ রানার। ইডেনের পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় মাঠকর্মীদের শুভেচ্ছা দিলেন, সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন ক্রিকেটাররা এখন অনেক বেশি অজুহাত দেন।

২০১৫ সাল থেকে ইডেনের দায়িত্বে সুজন। তিনি চেষ্টা করে এসেছেন ব্যাটার, বোলার সকলেই সুবিধা পাবে এমন উইকেট তৈরি করতে। আনন্দবাজার অনলাইনকে সুজন বললেন, “আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে মাঠের অনেক কিছুই বদলেছি। বাংলার ক্রিকেট সংস্থা আমাকে বরাবর সাহায্য করে এসেছে। কখনও কোনও কাজ নিয়ে প্রশ্ন করেনি। আমি সব সময় চেয়েছি এমন উইকেট বানাতে, যেখানে বোলার, ব্যাটার সকলেই সুবিধা পাবে। শুধু আইপিএল বলে নয়, আমি সব সময়ই এমন উইকেট বানানোর চেষ্টা করি।” বাংলার ক্রিকেট সংস্থার প্রধান স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “মাঠকর্মীদের এই পুরস্কার প্রাপ্য। তাঁরা পরিশ্রম করেছেন বলেই সম্ভব হয়েছে এটা। দারুণ কাজ করেছেন তাঁরা।”

Advertisement

আইপিএলের আগে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ ছিল। ১৯ ফেব্রুয়ারি রঞ্জির ফাইনাল শেষ হয়। আইপিএল শুরু হয়ে যায় ৩১ মার্চ। ওই অল্প সময়ের মধ্যেই পিচ তৈরি করে ফেলতে হয়েছে। স্নেহাশিস বললেন, “এক মাস মতো সময় পাওয়া গিয়েছিল আইপিএলের আগে। সেই সময়ের মধ্যেই যে মাঠ তৈরি করা হয়েছে। পুরো ইডেন ঢেকে ফেলার মতো পরিকাঠামো রয়েছে আমাদের। সেটাই বাকি মাঠের থেকে আলাদা করে দেয় আমাদের।” সুজন বললেন, “আইপিএলের আগে খুব বেশি সময় তো ছিল না পিচ তৈরি করার জন্য। তার মধ্যেও যে আমরা সফল ভাবে পিচ এবং মাঠ তৈরি করতে পেরেছি, সেটার জন্য কৃতিত্ব দিতেই হবে সমস্ত মাঠকর্মীদের। তাঁরা যে ভাবে পরিশ্রম করেছেন। আমি গর্বিত। খুব আনন্দ হচ্ছে আইপিএলের সেরা পিচ এবং মাঠের পুরস্কার পেয়ে।”

এই মাঠ নিয়েই অভিযোগ করেছিলেন কলকাতার অধিনায়ক। নীতীশ বলেছিলেন, “আমার মনে হয় কেকেআর ছাড়া বাকি সব দল ঘরের মাঠের সুবিধা পায়। ওখানে আমরা ব্যাটিং উইকেটে খেললে ২০০-র বেশি রান করি। আবার মন্থর পিচে খেলা হলে রান কম হয়। ফলে ব্যাটারদের বার বার নিজেদের পিচের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। এটা বাকি দলগুলোকে করতে হয় না।”

সুজন মনে করিয়ে দিলেন আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি দল পছন্দের পিচ চাইতে পারে না। তিনি বলেন, “এখানে খেলতে এসে হার্দিক পাণ্ড্য, মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে কথা হয়েছিল আমার। ওরা বলছিল আগের থেকে মাঠ এখন অনেক সুন্দর হয়েছে। আসলে এখনকার অনেক ক্রিকেটারের মধ্যে একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তারা আউট হয়ে নিজের ভুল দেখার চেষ্টা করে না। আম্পায়ারের দোষ দেখে। পিচের দোষ দেখে।” স্নেহাশিস বললেন, “আমার মনে হয় কেকেআর অধিনায়ক নিজের মত জানিয়েছেন ওটা। আমি সেই বিষয়ে কিছু বলব না। কেকেআরের তরফে আমাদের কোনও কিছু বলা হয়নি। আর বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী কেকেআর আমাদের পিচ কেমন হবে সেটা বলতে পারে না। গুজরাত টাইটান্স দলে তো রশিদ খান, নুর আহমেদের মতো স্পিনার রয়েছে। ওরা তো আমদাবাদে স্পিন সহায়ক পিচ তৈরি করতে পারত। সেটা তো হয়নি। ২০ ওভারে ২০০-র উপরে রান উঠেছে। ১৫ ওভারে ১৭১ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতেছে অন্য দল। মাঠ ভর্তি দর্শক উপভোগ করেছে সেই ম্যাচ। এমন পিচই তো হওয়া উচিত। আমরা সেটাই করার চেষ্টা করেছি এবং পুরস্কার পেয়েছি।”

আরও পড়ুন
Advertisement