রসিখের সঙ্গে পন্থ। ছবি: আইপিএল
বুধবার ঘরের মাঠে গুজরাত টাইটান্সকে হারিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। টান টান ম্যাচের ফয়সালা হয়েছে শেষ বলে। ম্যাচের পর আনন্দের মাঝে বিতর্কে দিল্লি শিবিরে। দলের বোলার রসিখ সালাম দারকে সতর্ক করে দিয়েছে বিসিসিআই। তিনি আইপিএলের আচরণবিধি ভেঙেছেন বলে জানানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে বোর্ড জানিয়েছে, আইপিএলের আচরণবিধির ২.৫ ধারা ভেঙেছেন সালাম। তিনি অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। লেভেল ১ পর্যায়ের অপরাধ এটি। সাধারণত কোনও ক্রিকেটারের ভাষা, কাজ বা অঙ্গভঙ্গিতে বিপক্ষকে ক্রিকেটারকে অসম্মান করা হলে এই আচরণবিধি ভঙ্গ করা হয়।
জম্মু এবং কাশ্মীরের এই ক্রিকেটার ১৯তম ওভারে বল করতে এসেছিলেন। তখন দিল্লির জিততে ১২ বলে ৩৭ রান চাই। ক্রিজ়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন সাই কিশোর। রসিখকে পর পর দু’টি ছয় মারেন তিনি। এর পরে ইনসুইং মেশানো একটি ইয়র্কারে কিশোরকে আউট করেন রসিখ। তার পরে তিনি যে ভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সেটা পছন্দ হয়নি কিশোর এবং ম্যাচ রেফারির। ভবিষ্যতে যাতে এ রকম অপরাধ তিনি না করেন, তার জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে রসিখকে।
ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ বলে যান, ‘‘মনে হচ্ছে, ছন্দ আবার ফিরছে। প্রত্যেক দিন নিজের খেলায় ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে।’’ যোগ করেন, ‘‘মাঠে নেমে নিজের একশো শতাংশ উজাড় করে দিতে চাই। সত্যি বলতে, মাঠে প্রত্যেকটা মুহূর্তে ক্রিকেটকে নতুন ভাবে উপভোগ করছি। আমরা একটাই লক্ষ্য। মাঠে নেমে নিজের সেরা খেলাটা দলের জন্য উপহার দিতে হবে।’’
৪৪ রানের মধ্যে তিন উইকেট চলে যাওয়ার পরে তিনি খেলতে নেমেছিলেন। সেই সময় কী মনে হয়েছিল? ঋষভ বলেছেন, ‘‘ওই সময় পরিস্থিতিটা মোটেও সুবিধার ছিল না। আমি এবং অক্ষর পটেল ক্রমাগত নিজেদের মধ্যে কথা বলে বুঝে নিতে চাইছিলাম, কী ভাবে এই চাপ থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।’’ পন্থ সেখানেই না থেমে আরও বলেন, ‘‘কত রান তুলতে পারি সেটা নিয়ে না ভেবে আমরা ঠিক করে নিয়েছিলাম, গুজরাত দলের মূল স্পিনারদের আক্রমণ করে ম্যাচে ফিরে আসতে হবে। সেই লক্ষ্যে স্থির থাকার ফলেই রানটা দুশোর উপরে চলে গিয়েছিল।’’