মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
দীপক চাহার ভেবেছিলেন, পরে বিয়ের প্রস্তাব দেবেন বান্ধবীকে। কিন্তু মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মনে হয়েছিল, অত দেরি করা ঠিক হবে না। তাই তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের সতীর্থকে। ধোনির পরামর্শ মেনে আগেই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন চাহার। এখন তিনি বিবাহিত। তাঁর বিয়ের ঘটকালি ধোনিরই করা। খেলার পাশাপাশি ‘লভগুরু’র ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল ধোনিকে।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালের আইপিএলের সময়। কোভিডের কারণে সে বার খেলা হচ্ছিল দুবাইয়ে। ১৪ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে উঠেছিল চেন্নাই। চাহার ভেবেছিলেন প্লে-অফের সময় বান্ধবী জয়া ভরদ্বাজকে বিয়ের প্রস্তাব দেবেন তিনি। কিন্তু তা হয়নি।
অভিনেত্রী অমৃতা রাও ও তাঁর স্বামী রেডিয়ো জকি অনমোলের একটি অনুষ্ঠানে সেই গোপন কথা ফাঁস করেছেন চাহার ও জয়া। তাঁদের বিয়ের নেপথ্যে ধোনির কী ভূমিকা ছিল তা জানিয়েছেন তাঁরা। চাহার বলেন, “আমার জীবনে ধোনি ভাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার খেলা থেকে শুরু করে বিয়ে সব জায়গায় ও আছে। আমি ভেবেছিলাম ২০২০ সালের প্লে-অফের সময় জয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে। একমাত্র ধোনি ভাইকে আমি সেটা বলেছিলাম। কিন্তু ধোনি ভাই আমাকে অন্য পরামর্শ দিল।”
ধোনি ঠিক কী বলেছিলে চাহারকে। তিনি বলেন, “ধোনি ভাই বলেছিল, প্লে-অফের সময় খেলার চাপ অনেক বেশি থাকবে। সেই সময় খেলার বাইরে কোনও কিছু নিয়ে ভাবলে সেটা দলের ও আমার পক্ষে খারাপ হবে। মনোযোগ থাকবে না। তার থেকে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের পরেই আমার বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া উচিত। কারণ, তখন সবার মন ফুরফুরে থাকবে। প্লে-অফে ওঠার আনন্দ থাকবে।”
অধিনায়কের কথা শুনেছিলেন চাহার। পঞ্জাব কিংসের সঙ্গে ম্যাচের পরে সোজা গ্যালারিতে গিয়ে হাঁটু মুড়ে জয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। তখন পাশে ধোনির স্ত্রী সাক্ষী, কন্যা জিভা। তা ছাড়া বাকি ক্রিকেটারদের পরিবারও সেখানে ছিল। সবাই খুব আনন্দ করেছিল। চাহারের প্রস্তাবে রাজি ছিলেন জয়া। পরে তাঁদের বিয়ে হয়।
এ বারের আইপিএলে অন্য ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে ধোনিকে। অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। বদলে চেন্নাইয়ের নতুন অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। হয়তো এ বারই শেষ চেন্নাইয়ের হলুদ জার্সিতে খেলতে দেখা যাচ্ছে ধোনিকে। তাই এ বার ট্রফি জিততে মরিয়ে চেন্নাই। প্রথম ম্যাচ জিতে সেই পথেই এগোচ্ছে তারা।