স্ট্রেট ড্রাইভ
IPL 2021

IPl 2021: আগে ব্যাট করার কথা ভাবুক ধোনি

ব্যাঙ্গালোরের সমস্যার আরও একটা কারণ আছে। ওদের বড় স্ট্রোক খেলার মতো ব্যাটাররা অনেক দিন বাদে মাঠে নেমেছে।

Advertisement
সুনীল গাওস্কর
শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:০৫
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

একটা ম্যাচের প্রতিদ্বন্দ্বী দু’টো দল তাদের দু’টো লড়াই জিতে মাঠে নামছে। আবার অন্য ম্যাচের দু’টো দল দু’টো খেলাই হেরেছে। মরুশহরে সুপার সানডেতে দু’টো ম্যাচের প্রতিদ্বন্দ্বীদের এমন ভাবেই চিহ্নিত করা যায়। আর একটু এগিয়ে বলে দেওয়া যায়, ম্যাচের পরে প্লে-অফে ওঠার দৌড়ে একটা দল ভাল মতোই এগিয়ে যাবে। আর একটা দল বড় ধাক্কা খাবে।

একটা ম্যাচে মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস আর কলকাতা নাইট রাইডার্স। অন্য ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে লড়াই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। ভারতের মাঠে হয়ে যাওয়া প্রথম পর্বে দারুণ খেলেছিল আরসিবি। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এসে ওরা যেন খেই হারিয়ে ফেলেছে। এখানকার বড় মাঠ তার একটা কারণ বলা যেতে পারে। বেশ কয়েক জন ব্যাটার বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছে। এ সব দেখে মনে একটা প্রশ্ন ওঠে। যে সব মাঠে সম্ভব, সেখানে কেন বাউন্ডারির সীমানা বাড়িয়ে দেওয়া হয় না? এমনিতে এই টি-টোয়েন্টি বোলারদের প্রতি বড় বেশি নির্দয়। বাউন্ডারি বড় হলে তাও কিছুটা সমতা ফিরবে ব্যাটার-বোলার দ্বৈরথে।

Advertisement

ব্যাঙ্গালোরের সমস্যার আরও একটা কারণ আছে। ওদের বড় স্ট্রোক খেলার মতো ব্যাটাররা অনেক দিন বাদে মাঠে নেমেছে। যত বড়ই প্রতিভাবান ব্যাটার হোক না কেন, দুম করে খেলতে নেমে ব্যাটের মাঝখান দিয়ে শট মারা অত সহজ নয়। আরসিবি বোলারেরাও এই সব নিষ্প্রাণ পিচের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি। যে কারণে ভারতের মাটিতে যে রকম কার্যকর দেখিয়েছিল ওদের, সে রকম আর দেখাচ্ছে না।

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সাধারণত একটু সময় নেয় ছন্দ পেতে। সেটা ১৪ ম্যাচের প্রতিযোগিতায় হয়তো সে রকম সমস্যা হয় না। কিন্তু যে প্রতিযোগিতা দু’পর্বে ভেঙে হচ্ছে, সেখানে সময় নিলে সমস্যা আছে। আর একটা ম্যাচ হারলে কিন্তু মুম্বইয়ের পক্ষে প্লে-অফে ওঠা কঠিন হয়ে যাবে। জেতার জন্য মুম্বইকে স্কোরবোর্ডে বড় রান তুলতে হবে। তার জন্য ওদের দুই তরুণ ব্যাটারকে রান পেতে হবে। যে দু’জন আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে। সূর্যকুমার যাদব এবং ঈশান কিশানকে দেখে মনে হচ্ছে, ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছে বলে ওরা ভাবছে, প্রথম থেকেই বল উড়িয়ে দেওয়া যাবে। কোনও সন্দেহ নেই, ওরা দু’জনেই খুব ভাল শট খেলে। কিন্তু দল এবং ওদের নিজেদের পক্ষেও ভাল হবে, যদি পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করে সূর্য এবং ঈশান। সব কিছুই অবশ্য নির্ভর করবে ম্যাচের কী পরিস্থিতিতে ওরা ব্যাট করতে নামছে। সেই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে খেলতে পারাটাই সাফল্যের চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়াবে।

চেন্নাই আর কলকাতার শেষ দুটো ম্যাচ দেখে বলতেই হবে, ওদের বোলারেরা দারুণ বল করছে। এই বোলারদের দ্বৈরথই কিন্তু ঠিক করে দেবে সিএসকে বনাম কেকেআর ম্যাচে শেষ হাসি কারা হাসবে। মরুশহরে তাদের ‘ঘরের মাঠ’ আবু ধাবিতে আরও একটা ম্যাচ খেলবে কলকাতা। আবু ধাবির বাইশ গজে ওদের দুই রহস্য স্পিনার— সুনীল নারাইন এবং সি ভি বরুণ প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের আটকে দিয়েছে। আবার উল্টো দিকে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মতো এক জন ব্যাটার রয়েছে। স্পিনারদের বল বুঝতে পারার ক্ষমতা ধোনির মতো আর কারও নেই। যে কারণে নাইট-স্পিনাররা যখন বল করবে, তখন ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে উপরে তুলে আনা উচিত ধোনির।

কলকাতার নতুন প্রতিভা বেঙ্কটেশ আয়ারকে দেখে বেশ ভাল লাগছে। দীপক চাহার, জশ হেজ্‌লউড, ডোয়েন ব্র্যাভো, শার্দূল ঠাকুরদের বিরুদ্ধে ও যদি নিজের খেলাটা খেলতে পারে, তা হলে কেকেআর আবার বড় স্কোর করবে। চলতি আইপিএলের প্রথম দফায় নাইটদের ডুবিয়েছিল ওদের ব্যাটিং। এ বার আয়ার এবং প্রচারের বাইরে থাকা রাহুল ত্রিপাঠী রানটা তুলে দিচ্ছে এবং বেশ দ্রুত গতির সঙ্গেই তুলছে।

এই দু’টো লড়াই কিন্তু সুপার সানডেকে স্মরণীয় করে রাখতে পারে। (টিসিএম)

Advertisement
আরও পড়ুন