বরখাস্ত করা হল কোচকে প্রতীকী ছবি
বরখাস্ত করা হল অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা দলের সহকারী কোচ অ্যালেক্স অ্যামব্রোজকে। তাঁর বিরুদ্ধে এক নাবালিকা ফুটবলারকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল। খবর পেয়ে ভারতীয় ফুটবলের দায়িত্বে থাকা প্রশাসকদের কমিটি (সিওএ) তাঁকে ইটালি থেকে দেশে ফেরার নির্দেশ দেয়। রবিবার সিওএ-র অন্যতম সদস্য বিচারপতি এস ওয়াই কুরেশি জানিয়েছেন, অ্যামব্রোজকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
কুরেশি টুইট করেছেন, ‘যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা দলের সহকারী কোচ অ্যালেক্স অ্যামব্রোজকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্তের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া হবে।’ প্রশাসকদের কমিটি এই ঘটনা খুব গুরুত্ব সহকারে খুঁটিয়ে দেখছে। কয়েক মাস পরেই অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলাদের বিশ্বকাপ হবে ভারতে। তার আগে ফুটবলারদের মনঃসংযোগ যাতে কোনও ভাবে বিঘ্নিত না হয়, সেই চেষ্টা করা হবে।
প্রসঙ্গত, ঘটনাটি ঘটেছে ইটালিতে। যে নাবালিকার সঙ্গে ওই ঘটনা ঘটেছে, তার রুমমেটের দৌলতে ঘটনা সামনে আসে। রুমমেট দলের এক কর্মীকে জানায়, ওই নাবালিকা ফুটবলারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। চারদিকে খোঁজা শুরু হয়। জানানো হয় কোচ টমাস ডেনারবিকে। শোনা গিয়েছে, সহকারী কোচের ঘরে নাবালিকাকে পাওয়া যায়। সহকারী কোচ কিছু স্বীকার করতে চাননি। তবে তাঁর ফোন ঘেঁটে ওই নাবালিকার সঙ্গে অপ্রীতিকর কিছু ছবি এবং বার্তা চালাচালি দেখতে পাওয়া যায়।
Alex Ambrose, Asstt Head Coach of Under 17 Women’s team has been sacked for sexual misconduct. Further action under process.
— Dr. S.Y. Quraishi (@DrSYQuraishi) July 3, 2022
ডেনারবি সঙ্গে সঙ্গে গোটা ঘটনাটি জানিয়েছিলেন প্রশাসকদের কমিটিকে (সিওএ)। সিওএ-র তরফে সেটি জানানো হয়েছিল স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে (সাই)। সাই তৎক্ষণাৎ সহকারী কোচকে দেশে ফেরত আসার নির্দেশ দিয়েছিল। দলের সঙ্গে তাঁকে সব সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। দলের সঙ্গে যে মনোবিদ রয়েছেন, তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নাবালিকার সঙ্গে কথা বলে গোটা ঘটনার বিবরণ লিখে জানাতে।
গত বৃহস্পতিবার এআইএফএফের তরফে এক বিবৃতিতে লেখা হয়েছিল, ‘ইউরোপে প্রস্তুতি প্রতিযোগিতায় থাকা দলের এক ফুটবলারের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। শৃঙ্খলার ব্যাপারে এআইএফএফ কোনও আপস করে না। প্রাথমিক ভাবে ওই ব্যক্তিকে নির্বাসিত করা হয়েছে। তাঁকে দলের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশে ফেরার পর তদন্তে তাঁকে সশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’