Lionel Messi

মেসির আগমনের খবর শুনেই ১৪০০ গুণ বেড়ে গেল টিকিটের দাম, লিয়োর ম্যাচ দেখতে গেলে খরচ কত?

মেসিকে সই করিয়েছে ইন্টার মায়ামি। এর ফলে শুধু সেই ক্লাবের দিকেই নয়, গোটা আমেরিকার দিকেই নজর ঘুরে গিয়েছে ফুটবল বিশ্বের। সঙ্গে সঙ্গে মায়ামির ম্যাচের টিকিটের দাম বেড়ে গিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩ ১৫:৫৫
lionel messi

লিয়োনেল মেসি। — ফাইল চিত্র

ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিচ্ছেন লিয়োনেল মেসি। বুধবার রাত থেকে এই খবর ছড়িয়ে পড়ামাত্রই মেজর লিগ সকারে (আমেরিকার ঘরোয়া লিগ) ইন্টার মায়ামির ম্যাচের টিকিটের দাম ঊর্ধ্বমুখী। যে ম্যাচ অনেক কম অর্থে দেখা যেত, সেই ম্যাচের টিকিটই বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ গুণ বেশি অর্থে। তাতেও সঙ্কুলান হচ্ছে না। চাহিদা এতটাই বেশি।

তা-ও এগুলি মেসির প্রথম ম্যাচ নয়। অগস্ট মাসে যে যে ম্যাচ খেলবে মায়ামি তারই টিকিটের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। এক-একটি টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৩০০ ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় ২৪,৮০০ টাকা)। আগামী ২৬ অগস্ট নিউ ইয়র্ক রেড বুলসের বিরুদ্ধে খেলবে মায়ামি। সেই ম্যাচের জন্যে টিকিটের দাম উঠেছে এতটাই! মাঠের একেবারে ধারে বসে মেসির খেলা দেখতে চাইলে খসাতে হবে ২০০০ ডলার (১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা)। সাধারণত সেই ম্যাচে টিকিটের দাম শুরু হয় ২০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ১৭০০ টাকা) থেকে।

Advertisement

শুধু এই ম্যাচটি নয়, মায়ামি আর যে ম্যাচগুলি খেলবে সেখানেও টিকিটের দাম আকাশচুম্বী। যতই মায়ামি পয়েন্ট তালিকায় সবার নীচে থাকুক না কেন, মেসি সব ঘেঁটে দিয়েছেন। লস অ্যাঞ্জেলেস ফুটবল ক্লাবের বিরুদ্ধে মায়ামির অ্যাওয়ে ম্যাচের টিকিটের দাম শুরু হচ্ছে ৩৮৩ ডলার (৩১,৭০০ টাকা) থেকে। অরল্যান্ডো সিটির বিরুদ্ধে ম্যাচের টিকিটের দাম শুরু ২০৬ ডলার থেকে। নিউ ইয়র্ক ম্যাচের টিকিটের দাম ১৯৫ ডলার থেকে শুরু। শিকাগো ফায়ার ম্যাচের টিকিটের দাম ২৩৫ ডলার থেকে শুরু।

মায়ামিতে মেসির সম্পত্তি রয়েছে। অতীতেও তিনি বহু বার বলেছেন যে আমেরিকায় খেলতে চান। সেই ইচ্ছেই পূরণ হচ্ছে এ বার। মেসি কত টাকা এবং আরও কী কী সুবিধা পাবেন, তা এখনও অজানা। কিন্তু সেই অঙ্ক মোটেই কম নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এমএলএসের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বড় ফুটবলার হতে চলেছেন মেসি। অতীতে এত বড় মাপের ফুটবলার এবং সদ্য সদ্য বিশ্বকাপজয়ী সে দেশে খেলতে আসেননি। আগামী বছর আমেরিকায় কোপা আমেরিকা হতে চলেছে। দু’বছর পর বিশ্বকাপ। তার আগে ফুটবল নিয়ে প্রচার বাড়াতে আমেরিকা গোটা নজরটাই সে দেশের দিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইল বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement