ভারতের অনূর্ধ্ব ২০ দলে সুযোগ পেয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের কালনার সোনালি। নিজস্ব চিত্র।
মহিলাদের অনূর্ধ্ব ২০ সাফ ফুটবলের ভারতীয় দলে সুযোগ পেলেন সোনালি সোরেন। পূর্ব বর্ধমানের কালনার ধাত্রীগ্রামে বাধাগাছি গ্রামে বাড়ি সোনালির। মেয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাওয়ায় খুশি তাঁর বাবা, মা-সহ গ্রামের সকলে।
বুধবার বাড়িতে ফোন করে মাকে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সোনালি। তাঁর ফোন পাওয়ার পর থেকে খুশিতে ভাসছে গোটা গ্রাম। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ বারের মহিলাদের অনূর্ধ্ব ২০ সাফ কাপ। বৃহস্পতিবার ভারতের প্রথম ম্যাচ ভুটানের বিরুদ্ধে। প্রতিযোগিতার চতুর্থ দল নেপাল।
ধাত্রীগ্রাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সোনালি। নিম্নবিত্ত পরিবার। বাবা হরি চাষ করে কোনও রকমে সংসার চালান। মা শেফালি সোরেন স্বামীকে চাষের কাজে সাহায্য করেন। হরিবাবুর দুই মেয়ের মধ্যে সোনালি বড়। খুব ছোট বয়স থেকেই ফুটবলের প্রতি সোনালির আগ্রহ। মেয়ের উৎসাহ দেখে বাধা দেননি মা-বাবাও। তাঁরাও সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন মেয়েকে এগিয়ে দিতে। সোনালির বাবা হরি সোরেন বলেছেন, ‘‘মেয়েকে সে ভাবে সাহায্য করতে পারি না। মেয়ের এই সাফল্যের জন্য আমরা ওর কোচের কাছে কৃতজ্ঞ।’’
সোনালি আটঘড়িয়া, কেশবপুর এবং কালনা স্টেডিয়ামের মাঠেই সাধারণত অনুশীলন করেন। বিভিন্ন পর্যায় পেরিয়ে সুযোগ পান বাংলা দলে। মাস দুয়েক আগে ভারতীয় দলের শিবিরে ডাক পেলেও, সে বার দলে নির্বাচিত হননি সোনালি। বাংলার আদিবাসী কন্যা অবশ্য হাল ছাড়েননি। নিজের দক্ষতা প্রমাণ করে, এ বার সাফ কাপের দলে জায়গা করে নিয়েছেন।
রঘুনাথ মুর্মু এবং মুকুল দেবনাথের কাছে নিয়মিত অনুশীলন করেন সোনালি। তাঁর প্রতিভা দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। অদম্য জেদ আর কঠোর অনুশীলনের সুফল সোনালি পেলেন শেষ পর্যন্ত।