Lionel Messi

আর্জেন্টিনার জোড়া ম্যাচের আগে স্ত্রীর দোকানে দুষ্কৃতী হামলায় উদ্বেগে মেসি

মেসির স্ত্রীর দোকানে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে। শহরে আরও পুলিশ নিয়োগের কথা বলেছেন রোজারিয়োর মেয়র। তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে মেসির স্ত্রীর।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৩ ২১:১৮
picture of Lionel Messi

রোজারিয়োতে স্ত্রীর দোকানে হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন মেসি। ফাইল ছবি।

লিয়োনেল মেসিকে হুমকি এবং তাঁর স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর দোকানে দুস্কৃতী হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন রোজারিয়োর মেয়র পাবলো জাভকিন। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। আর্জেন্টিনার জোড়া ম্যাচের আগে এই ঘটনা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।

বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছিল মেসির শহর রোজারিয়োতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা দু’জন দুস্কৃতীকে বাইকে করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে দেখেছেন। দুস্কৃতীরা আন্তোনেল্লার দোকানে গুলি চালানোর পর পালিয়ে যাওয়ার আগে মেসির জন্য একটি চিঠি রেখে যায়। তাতে লেখা ছিল, “মেসি, তোমার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। জাভকিন একজন মাদকচক্রী, ও তোমায় বাঁচাতে পারবে না।”

Advertisement

জাভকিন বলেছেন, ‘‘এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। মেসির উপর আক্রমণের ঘটনার খবরের থেকে আর কিছু দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে না। ঠিক সেটাই হয়েছে। আমি আন্তোনেল্লার সঙ্গে কথা বলেছি। এই ঘটনায় ওঁরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।’’ তিনি আরও বলেছেন, “শহরে হিংসার ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরে আরও পুলিশ নিয়োগের দরকার রয়েছে।’’

আন্তোনেল্লার দোকানে মোট ১৪ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল দুস্কৃতীরা। দোকানটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লাউদিয়ো ব্রিলোনি বলেছেন, ‘‘কারা হামলা চালাতে পারে, সে ব্যাপারে সুপার মার্কেট কর্তৃপক্ষের কোনও ধারনা নেই।’’ ঘরের মাঠে আর্জেন্টিনার দু’টি প্রীতি ম্যাচের আগে এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন।

আগামী ২৩ মার্চ পানামা এবং ২৮ মার্চ কুরাকাওয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে আর্জেন্টিনার। বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর প্রথম বার মাঠে নামার কথা আর্জেন্টিনার। প্রথম ম্যাচটি হবে বুয়েনস এয়র্সে। দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে সান্তিয়াগো দেল এস্তোরো প্রদেশে। দেশের হয়ে এই দু’টি ম্যাচে মেসির খেলা যদিও নিশ্চিত নয়। কিন্তু দু’টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে মেসির স্ত্রীর দোকানে দুষ্কৃতী হামলা চিন্তায় ফেলেছে প্রশাসনিক আধিকারিকদের।

হামলাকারীদের শত্রুতা মেসিরস সঙ্গে নাকি রোজারিয়োর মেয়র জাভকিনের সঙ্গে তা স্পষ্ট নয়। হুমকি চিঠিতে জাভকিনের নাম থাকায় প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, মেয়রের সঙ্গেই তাদের শত্রুতা রয়েছে। জাভকিনের সঙ্গে মেসির সুসম্পর্ক থাকায় বার্তা দিতে হামলার লক্ষ্য হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে আন্তোনেল্লার দোকান। ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও অপরাধীদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। উল্লেখ্য, সুপার মার্কেটটির মালিক আন্তোনেল্লার পরিবার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement