Champions League

Champions League: ৫ মিনিটের ঝড়ে উড়ে গেল পেপের ম্যাঞ্চেস্টার, বেঞ্জেমারা মনে করালেন মেসিদের

অতি বড় সমর্থকও ভাবেননি পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠতে পারবে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু ফুটবলে শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত যে হার-জিত নিশ্চিত হয় না তা আরও এক বার দেখিয়ে দিলেন করিম বেঞ্জেমারা। ৯০ থেকে ৯৫ মিনিটের মধ্যে তিনটি গোল করে ৬-৫ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে উঠলেন তাঁরা।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২২ ১০:৪২
বেঞ্জেমাদের মতোই শেষ মুহূর্তে ম্যাচ জিতেছিলেন মেসিরা

বেঞ্জেমাদের মতোই শেষ মুহূর্তে ম্যাচ জিতেছিলেন মেসিরা ফাইল চিত্র

৮৯ মিনিট পর্যন্ত ৫-৩ (দুই পর্ব মিলিয়ে) গোলে পিছিয়ে তাঁরা। অতি বড় সমর্থকও ভাবেননি পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠতে পারবে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু ফুটবলে শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত যে হার-জিত নিশ্চিত হয় না তা আরও এক বার দেখিয়ে দিলেন করিম বেঞ্জেমারা। ৯০ থেকে ৯৫ মিনিটের মধ্যে তিনটি গোল করে ৬-৫ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে উঠলেন তাঁরা। সেই সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদ মনে করিয়ে দিল পাঁচ বছর আগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার লড়াইকে। এ ভাবেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে প্যারিস সঁ জঁ-কে হারিয়েছিলেন মেসিরা।
সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে ঘরের মাঠে রিয়ালকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছিল ম্যান সিটি। ফাইনালে ওঠার জন্য বেঞ্জেমাদের অন্তত দু’গোলের ব্যবধানে জিততেই হত। কিন্তু ৭৩ মিনিটে বিপর্যয় নেমে আসে রিয়াল শিবিরে। বের্নার্দো সিলভার পাস থেকে গোল করে ম্যান সিটিকে এগিয়ে দেন রিয়াদ মাহরেজ। সবাই ভেবেছিলেন ফাইনালে ফের দেখা যাবে ইংল্যান্ডের দুই ক্লাবকে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নাটক। ৯০ মিনিটে বেঞ্জেমার পাস থেকে ১-১ করেন রদ্রিগো। এক মিনিটের মধ্যেই ম্যান সিটি ডিফেন্ডারদের ভুলে হেডে রিয়ালকে ২-১ এগিয়ে দেন সেই রদ্রিগো। দুই পর্ব মিলিয়ে ফল ৫-৫ হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ৩-১ করেন বেঞ্জেমা। আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ম্যান সিটি।

Advertisement

একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয়। প্রথম পর্বের ম্যাচে ঘরের মাঠে বার্সাকে ৪-০ গোলে হারায় পিএসজি। ফরাসি ক্লাবের হয়ে জোড়া গোল করেন দি মারিয়া। অন্য দু’টি গোল করেন ড্র্যাক্সলার ও কাভানি। ফলে দ্বিতীয় পর্বে অন্তত ৫ গোল করতে হত মেসিদের। ম্যাচের ৫০ মিনিটের মধ্যে ৩-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বার্সা। কিন্তু ৬২ মিনিটে খেলার গতির বিপরীতে গোল করে ক্যাম্প ন্যু-কে স্তব্ধ করে দেন কাভানি।

সবাই ভেবেছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নেবেন মেসিরা। কিন্তু ওই যে, শেষ বাঁশি পর্যন্ত খেলা শেষ হয় না। ৮৮ মিনিটে গোল করে বার্সাকে খেলায় ফেরান নেমার। অতিরিক্ত সময়ে আরও দু’টি গোল করে বার্সা। তার মধ্যে শেষ গোলটি হয় রেফারির বাঁশি বাজার কয়েক সেকেন্ড আগে। ফলে ৬-৫ গোলে জেতেন মেসিরা।

আরও পড়ুন
Advertisement