মোহনবাগান তাঁবুতে ভাঙা অবস্থায় পড়ে সেই বিপণন কেন্দ্র। — নিজস্ব চিত্র।
গত বুধবার মোহনবাগানের কার্যকরী সমিতির বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ক্লাবের তরফে ‘মার্চেন্ডাইজ় শপ’ বা বিপণন কেন্দ্র তৈরি করা হবে। সেই মতো বৃহস্পতিবার থেকে ক্লাবের প্রধান ফটক থেকে কিছুটা ভেতরে বাঁ দিকে একটি অস্থায়ী দোকান তৈরি করা হয়েছিল। তা ভেঙে দিল সেনাবাহিনী। শুক্রবার সকালে সেনাবাহিনীর কিছু কর্তা এসে বেশ কিছু অস্থায়ী নির্মাণ ভেঙে দেন। ক্লাবের তরফে এখনও সরকারি ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
মোহনবাগান তাঁবুতে সেই দোকানে স্কার্ফ, জলের বোতল, চাবির রিং, কফি মাগ-সহ বেশ কিছু জিনিস বিক্রি হচ্ছিল। বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৬.৩০টা পর্যন্ত খোলা ছিল সেই দোকান। গত দু’দিনে অনেকেই এসে সেখান থেকে জিনিস কিনেছেন। শুক্রবার সকালের ঘটনায় ক্ষিপ্ত সমর্থকেরা। এ দিন বিকেলে মোহনবাগান তাঁবুতে গিয়ে দেখা গেল, বিপণন কেন্দ্রটি ভাঙা অবস্থায় তখনও পড়ে রয়েছে। এ দিক-ও দিক ছড়িয়ে রয়েছে ক্লাবের লোগো দেওয়া ব্যানার, পোস্টার।
শুধু এটিই নয়, মাঠের ভিতরে চার ধারে বিজ্ঞাপনী বোর্ড লাগানো ছিল। সেগুলিও ভেঙে বা ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। অনুশীলনের পর ফুটবলারেরা যেখানে ‘আইস বাথ’ নেন, সেই অস্থায়ী নির্মাণও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত এখন বাইরে আছেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, এটা প্রথামাফিক কাজ। ময়দান চত্বরে কোনও অস্বীকৃত নির্মাণ হলে সেটা ভেঙে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। খবর পেয়েই মোহনবাগান তাঁবুতে যাওয়া হয়েছিল। অস্থায়ী নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে ক্লাবকে এ দিন জানানোও হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
মোহনবাগান ক্লাব সূত্রে খবর, সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তা মিটে গিয়েছে। দ্রুত সেই বিপণন কেন্দ্র নতুন করে চালু হবে। মোহনবাগানের সদস্য কৌশিক কোনার জানিয়েছেন, ক্লাবের বিভিন্ন অস্থায়ী নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী থেকে চারজন অফিসার এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
ময়দানের ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান-সহ প্রায় সব তাঁবুই সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন। সেখানে স্থায়ী বা অস্থায়ী, যে কোনও নির্মাণের ক্ষেত্রেই সেনাবাহিনীর অনুমতি প্রয়োজন। আবেদনের পর সেনাবাহিনীর কর্তারা এসে ক্লাবের প্রস্তাবিত নির্মাণের জায়গাটি দেখার পরে অনুমতি পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি।
কয়েক মাস আগে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবেও এমন ঘটনা দেখা গিয়েছিল। লাল-হলুদ তাঁবুর এক প্রান্তে শৌচালয় তৈরির কাজ চলার সময়েই সেনাবাহিনীর কিছু অফিসার এসে তা ভেঙে দিয়েছিলেন। পরে ক্লাবের তরফে কথাবার্তার পর আবার কাজ শুরু হয়। সেই শৌচালয় অনেক দিন আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছে।