— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দু’দলই খেলেছে দু’টি করে ম্যাচ। দু’দলই নিজেদের দু’টি ম্যাচ জিতেছে। ফলে দু’দলেরই পয়েন্ট ৬। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার ডার্বিতে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে যে দল জিতবে তারা যাবে সুপার কাপের সেমিফাইনালে। সহজ হিসাব। কিন্তু যদি ড্র হয় সেই ম্যাচ। তা হলে? ড্র হলেও হিসাবটা পরিষ্কার। সেমিফাইনালে উঠবে ইস্টবেঙ্গল। সেই কারণেই খানিকটা হলেও এগিয়ে ডার্বিতে নামবে লাল-হলুদ। অন্য দিকে জিততেই হবে সবুজ-মেরুনকে।
মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট সমান হলেও তফাত গড়ে দিয়েছে গোল করার সংখ্যা। সুপার কাপের নিয়ম অনুযায়ী, গ্রুপের দু’দলের পয়েন্ট সমান থাকলে দেখা হয় গোলপার্থক্য। দু’দলেরই গোলপার্থক্য সমান (২)। অর্থাৎ, ডার্বি ড্র হলে গোলপার্থক্য একই থাকবে। তখন দেখা হবে কোন দল বেশি গোল করেছে। আর সেখানেই এগিয়ে লাল-হলুদ।
গ্রুপের দুই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল গোল করেছে ৫টি। গোল খেয়েছে ৩টি। ফলে গোলপার্থক্য ২। অন্য দিকে মোহনবাগান গোল করেছে ৪টি। খেয়েছে ২টি। ফলে তাদেরও গোলপার্থক্য ২। যদি ডার্বি ড্র হয় তা হলে বেশি গোল করার নিরিখে মোহনবাগানকে টপকে সুপার কাপের সেমিফাইনালে উঠবে ইস্টবেঙ্গল। তাই ডার্বি ড্র করলেই চলবে তাদের। অন্য দিকে জিততেই হবে মোহনবাগানকে। ড্র করলে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হবে তাদের।
আগামী শুক্রবার ডার্বি খুব একটা সহজ হবে না মোহনবাগানের। দলের সাত ফুটবলার এএফসি এশিয়ান কাপ খেলতে গিয়েছে। দুই ফুটবলার চোটে রয়েছে। প্রথম সারির বেশ কয়েক জনকে বাদ দিয়ে দল তৈরি করতে হবে তাদের। সুপার কাপের গ্রুপ পর্বেই দেখা গিয়েছে, পরিবর্ত ফুটবলারদের বোঝাপড়া এখনও সে ভাবে তৈরি হয়নি। অন্য দিকে ইস্টবেঙ্গল সুপার কাপের দু’টি ম্যাচই ভাল খেলেছে। বিশেষ করে দলের আক্রমণ ভাগ নজর কাড়ছে। ফলে বাগানের থেকে বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়েই ডার্বিতে নামবে ইস্টবেঙ্গল। এখন দেখার শেষ হাসি কে হাসে।