Bengali New Year and Barpujo

নববর্ষে বারপুজোয় জমজমাট ময়দান, মোহনবাগানের চোখ লিগ-শিল্ডে, ইস্টবেঙ্গলের লক্ষ্য কী?

বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে কলকাতা ময়দানে রমরমিয়ে পালন করা হল বারপুজো। দুই প্রধানেই ছিল উৎসবের পরিবেশ। মোহনবাগানে যেমন লিগ-শিল্ড জয়ের প্রতিজ্ঞা নেওয়া হল, তেমনই ইস্টবেঙ্গলের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হল পরের বার আরও ভাল খেলার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:১৫
football

মোহনবাগানের বারপুজো (বাঁ দিকে) এবং ইস্টবেঙ্গলের বারপুজো। ছবি: ফেসবুক।

বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন বরাবরই কলকাতা ময়দানে বিশেষ তাৎপর্যের। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ছাড়াও ময়দানের বেশির ভাগ এ দিন বারপুজো হয়। গোলপোস্টকে পুজো করার মাধ্যমে পরের মরসুমের জন্য নতুন সংকল্প নেন ফুটবলার, কর্তারা। রবিবার তেমনই সকাল থেকে কলকাতা ময়দানে রমরমিয়ে পালন করা হল বারপুজো। দুই প্রধানেই ছিল উৎসবের পরিবেশ। একই জিনিস দেখা গিয়েছে মহমেডানেও। কারণ তারা এ বার আই লিগে জিতে আইএসএলের যোগ্যতা অর্জন করেছে। মোহনবাগান তাঁবুতে যেমন লিগ-শিল্ড জয়ের প্রতিজ্ঞা নেওয়া হল, তেমনই ইস্টবেঙ্গলের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হল পরের বার আরও ভাল খেলার।

Advertisement

সোমবার মোহনবাগানের খেলা থাকায় প্রথম দলের ফুটবলারেরা কেউই আসতে পারেননি। তবে দীপেন্দু বিশ্বাস এবং আমনদীপ সিংহকে দেখা গিয়েছে। ছিলেন মোহনবাগানের সচিব দেবাশিস দত্ত, ফুটবল সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়েরা। ছিলেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শিশির ঘোষের মতো প্রাক্তন ফুটবলারেরা। পুরোহিতের সঙ্গে পুজোয় অংশ নেন দীপেন্দু, আমনদীপ। বেশ কিছু ক্ষণ পুজো চলে।

এর পরে দেবাশিস কথা বলেন মুম্বই ম্যাচ নিয়ে। তাঁর কথায়, “মোহনবাগানের কাছে সব ম্যাচই কঠিন। যে দলই খেলুক, মোহনবাগানের সামনে সেরা খেলা খেলতে চেষ্টা করে। চেন্নাইয়িন এত নীচে থাকা সত্ত্বেও সেরা ম্যাচ খেলেছে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। তবে আমার মতে, গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ খেলতে চলেছি।” তিনি এ-ও বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে মোহনবাগানই বাংলার মুখ। এ বার মহমেডানও জাতীয় স্তরে সাফল্য পেয়েছে। প্রথম ছয়ে গত কয়েক বছর মোহনবাগানই খেলে। পরের বছর বাংলার তিন দলকেই চাই।”

ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই সকালে বারপুজোয় এসেছিলেন অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা, মিডফিল্ডার শৌভিক চক্রবর্তী। এ ছাড়া কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত এবং সহকারী কোচ দিমাস দেলগাদোও ছিলেন। ছিলেন ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবেও। প্রত্যেকেই পুজোয় অংশ নেন। চোখমুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল বেশ ভাল লেগেছে। পরে কুয়াদ্রাত বলেন, “এ বছর আমরা আগের থেকে অনেক ভাল খেলেছি। কোনও একটা জায়গায় দলকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা দুটো ফাইনাল খেলেছি। একটা জিতেছি। প্লে-অফের কাছাকাছিও চলে এসেছি। আশা করি পরের বার আরও ভাল খেলব এবং আরও বেশি ট্রফির জন্য লড়াই করব। এখনও হাতে অনেক সময় রয়েছে। পরের বারের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আরও বেশি পরিকল্পনা করা যাবে।”

আরও পড়ুন
Advertisement