গোলের পর মেসির উচ্ছ্বাস। ছবি: টুইটার
আগের দিনই শেষ মুহূর্তে ফ্রিকিক থেকে দুর্দান্ত গোল করে জিতিয়েছেন প্যারিস সঁ জরমঁ। পরের দিন, অর্থাৎ সোমবারই আচমকা বার্সেলোনায় ফিরে গেলেন লিয়োনেল মেসি। তা হলে কি আবার পুরনো ক্লাবে যোগ দিতে চলেছেন? তাঁকে নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তা কি সত্যি?
স্পেনের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, তেমন কিছুই নয়। মেসির বার্সেলোনায় যাওয়া নেহাতই ছুটি কাটানোর খাতিরে। দু’বছর আগে প্যারিসের ক্লাবে যোগ দিলেও বার্সেলোনায় এখনও একটি বাড়ি রয়েছে মেসির। সেই বাড়িতেই ছুটি কাটাতে সপরিবার গিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপের পর এই প্রথম বার্সেলোনায় পা দিলেন তিনি।
লিলের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তের গোলে দলকে জেতানোর পর পিএসজি-র কোচ ক্রিস্টোফ গালচিয়ে দু’দিনের ছুটি দিয়েছেন দলকে। আবার অনুশীলন শুরু হবে বুধবার থেকে। আগামী রবিবার মার্সেইয়ের বিরুদ্ধে খেলবে পিএসজি। তাই মাঝের এই সময়টা বার্সেলোনার বাড়িতেই কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেসি। আবার প্যারিসে ফিরবেন বুধবার সকালে। বার্সেলোনা বিমানবন্দরে মেসির যাওয়ার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
✈️ LEO MESSI EN BARCELONA
— Víctor Navarro (@victor_nahe) February 19, 2023
🎥Pisa la ciudad condal por primera vez tras ganar el Mundial de Qatar
🛬Leo vuelve a la que nunca ha dejado de ser su casa. Es LA IMAGEN
El PSG no juega hasta el domingo en Marsella
📻 @tjcope @COPE @ESPORTSCOPE @partidazocope pic.twitter.com/ZDl8ytyyyF
এ দিকে, রবিরার ৯৫ মিনিট পর্যন্ত খেলার ফল ছিল ৩-৩। ঠিক সেই সময় বক্সের বাইরে থেকে ফ্রিকিক পায় পিএসজি। সেখান থেকে বাঁ পায়ের দুরন্ত ফ্রিকিকে গোল করেন মেসি। তিনি গোলরক্ষকের বাঁ দিক দিয়ে মারেন। টপ কর্নারে না মেরে নীচের দিকে মেরেছিলেন মেসি। তাই গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়েও সেই বলের নাগাল পাননি। গোল হওয়ার পরে মেসিকে জড়িয়ে ধরেন এমবাপেরা। জিতে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।
বেশ কয়েক দিন পরে আবার ক্লাবের জার্সিতে একসঙ্গে খেলতে নেমেছিলেন মেসি, এমবাপে, নেমার। শুরুটা ভালই হয়েছিল। ১৭ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল পিএসজি। গোল করেন এমবাপে ও নেমার। ত্রিফলা আক্রমণে চাপে পড়ে গিয়েছিল লিলের রক্ষণ। তার মধ্যেই খেলার গতির বিপরীতে প্রতি আক্রমণ থেকে ১ গোল শোধ করে লিলে।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় ছবি। প্রতিপক্ষ ফুটবলার বেঞ্জামিন আন্দ্রের সঙ্গে সংঘর্ষে ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট পান নেমার। মাঠে শুয়ে কাতরাতে থাকেন তিনি। পরে স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। বিশ্বকাপেও ডান পায়ের গোড়ালির চোটে ব্রাজিলের হয়ে গ্রুপ পর্বের দুটো ম্যাচ খেলতে পারেননি নেমার। সেই একই জায়গায় আবার চোট পেলেন তিনি।