লিয়োনেল মেসির গোলের পরে তাঁকে জড়িয়ে ধরেছেন কিলিয়ান এমবাপে। ফ্রিকিক থেকে দুরন্ত গোল দিয়েছেন লিয়ো। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া
একই দিনে আনন্দ ও হতাশা প্যারিস সঁ জরমঁ শিবিরে। এক দিকে যখন শেষ মুহূর্তে বাঁ পায়ের জাদু দেখালেন মেসি, অন্য দিকে তার আগেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন নেমার। শেষ পর্যন্ত ৭ গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতল পিএসজি। ৪-৩ গোলে লিলেকে হারাল তারা।
৯৫ মিনিট পর্যন্ত খেলার ফল ছিল ৩-৩। ঠিক সেই সময় বক্সের বাইরে থেকে ফ্রিকিক পায় পিএসজি। সেখান থেকে বাঁ পায়ের দুরন্ত ফ্রিকিকে গোল করেন মেসি। তিনি গোলরক্ষকের বাঁ দিক দিয়ে মারেন। টপ কর্নারে না মেরে নীচের দিকে মেরেছিলেন মেসি। তাই গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়েও সেই বলের নাগাল পাননি। গোল হওয়ার পরে মেসিকে জড়িয়ে ধরেন এমবাপেরা। জিতে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।
Coup franc de Lionel Messi à la 95e pour le 4-3 face au LOSC ! 💥🎯⚽️#PSG #ParisSG #ParisSaintGermain #Paris #footballfrancais #football #FFF #Ligue1 #L1 #Ligue1UberEats #LOSC #Lille #Neymar #MESSI #Mbappe pic.twitter.com/PMnwuskBBJ
— Ugo Ferreira (@FerreiraUgo14) February 19, 2023
বেশ কয়েক দিন পরে আবার ক্লাবের জার্সিতে একসঙ্গে খেলতে নেমেছিলেন মেসি, এমবাপে, নেমার। শুরুটা ভালই হয়েছিল। ১৭ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল পিএসজি। গোল করেন এমবাপে ও নেমার। ত্রিফলা আক্রমণে চাপে পড়ে গিয়েছিল লিলের রক্ষণ। তার মধ্যেই খেলার গতির বিপরীতে প্রতি আক্রমণ থেকে ১ গোল শোধ করে লিলে।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় ছবি। প্রতিপক্ষ ফুটবলার বেঞ্জামিন আন্দ্রের সঙ্গে সংঘর্ষে ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট পান নেমার। মাঠে শুয়ে কাতরাতে থাকেন তিনি। পরে স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। বিশ্বকাপেও ডান পায়ের গোড়ালির চোটে ব্রাজিলের হয়ে গ্রুপ পর্বের দুটো ম্যাচ খেলতে পারেননি নেমার। সেই একই জায়গায় আবার চোট পেলেন তিনি।
নেমার উঠে যাওয়ার পরে ৫৮ ও ৬৯ মিনিটের মাথায় পর পর গোল করে এগিয়ে যায় লিলে। দেখে মনে হচ্ছিল আরও একটি ম্যাচে হারের সাক্ষী থাকতে হবে প্যারিসের ক্লাবকে। কোনও ভাবেই গোলের মুখ খুলতে পারছিল না দল। ৮৭ মিনিটের মাথায় পিএসজির হয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন এমবাপে। খেলায় সমতা ফেরায় পিএসজি। তার পরে শেষ মুহূর্তে মেসির জাদুতে ম্যাচ জিতে ক্লাব।