কিলিয়ান এমবাপে। —ফাইল চিত্র।
২০১৮ সালে দেশের জার্সিতে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। ২০২২ সালে ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। সেই ফুটবলার নাকি দেশের হয়ে খেলতে চাইছেন না। এমনটাই শোনা গিয়েছিল কিছু দিন আগে। এমবাপে যদিও সেটা মানছেন না। তাঁর কাছে দেশের চেয়ে বড় কিছু নয় বলেই জানালেন।
গত মাসে ইজরায়েল এবং ইটালির বিরুদ্ধে ফ্রান্সের হয়ে খেলেননি এমবাপে। কোচ দিদিয়ের দেঁশ জানিয়েছিলেন যে, এমবাপে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। সেই কারণে খেলছেন না। ফ্রান্সের অধিনায়ক এখন এমবাপে। তিনি অক্টোবরেও দেশের হয়ে খেলেননি। সেই সময় তাঁর চোট ছিল বলে জানা গিয়েছে। যদিও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। শোনা যাচ্ছে কোচের সঙ্গে সমস্যার কারণেই দেশের হয়ে খেলছেন না এমবাপে।
এমবাপে যদিও দেশের হয়ে খেলাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমার কাছে সব সময় দেশ আগে। ফ্রান্স দলের জন্য আমার ভালবাসা একটুও কমেনি। অনেক মানুষের মানসিক সমস্যা হয়। সেটাকে হাল্কা ভাবে নেওয়া উচিত নয়। সেই ধরনের মানুষদের সাহায্য প্রয়োজন হয়। আমার কখনও এমন হয়নি।” নাম না করে দেঁশর দাবি নাকচ করে দিয়েছেন এমবাপে।
এমবাপে নিজের দেশকে কতটা ভালবাসেন বোঝানোর জন্য শেষ ইউরো কাপের উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আমার কাছে সব কিছুর আগে দেশ। আমি তো নিজের নাক উৎসর্গ করে দিয়েছিলাম দেশের জন্য।” ইউরো কাপে খেলতে নেমে নাক ভেঙে গিয়েছিল এমবাপের। সেই অবস্থাতেই তিনি ফেসগার্ড পরে খেলতে নেমেছিলেন।
এমবাপের এই মাসেই ২৬ বছর বয়স হবে। এখনই দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করার তালিকায় তৃতীয় স্থানে তিনি। ৪৮টি গোল করেছেন এমবাপে। তাঁর সামনে শুধু থিয়োরি অঁরি (৫১) এবং অলিভিয়ার জিরু (৫৭)। তবে দেশের হয়ে শেষ ১২টি ম্যাচে মাত্র দু’টি গোল করেছেন এমবাপে। তিনি বলেন, “তারকা হয়ে যাওয়ার পর যদি তুমি কথা না বলো, তা হলে তোমার হয়ে অন্যরা কথা বলবে। সেই কারণেই আমি এই সাক্ষাৎকারটা দিলাম।”