সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেতে পারেন প্রফুল। ফাইল ছবি
সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার (এআইএফএফ) সভাপতির পদ থেকে অনেক আগেই তাঁকে উৎখাত করা হয়েছে। এ বার আরও বড় বিপদে পড়তে পারেন প্রফুল পটেল। তাঁর বিরুদ্ধে এআইএফএফের অর্থ অন্যত্র পাচার করার অভিযোগ উঠেছে। আর্থিক তছরুপের অভিযোগও করা হয়েছে। আগামী দিনে পটেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে কড়া তদন্ত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি, কোর্টে নির্দেশ দিলে হয়তো তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ আদালতের নিয়ম বিরোধী কাজ করার বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে পটেল এবং বর্তমান এআইএফএফ সেক্রেটারি জেনারেল শাজি প্রভাকরণকে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রশাসকদের কমিটি নিয়োগ করার যে উপদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছিল তা এড়িয়েছিলেন তাঁরা। পাশাপাশি এআইএফএফ-কে যাতে নির্বাসিত করা হয়, সেই ব্যাপারেও ফিফাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণ ওই বেঞ্চকে জানান যে, ২০১৭-২২ পর্যন্ত বিভিন্ন চুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক তছরুপ করা হয়েছে। আমেরিকার একটি সংস্থা এই সম্পর্কে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেটি খতিয়ে দেখে চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ঠিক করবে তা জনসমক্ষে আনা হবে কি না। গুরুতর অভিযোগ থাকলে পটেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। শঙ্করনারায়ণ জানান, পটেলের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যক্তির ব্যক্তিগত যোগাযোগের তথ্য রয়েছে ওই রিপোর্ট। আগামী শুনানিতে সেটি নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ মে সুপ্রিম কোর্ট সরিয়ে দেয় পটেল এবং বাকি কর্তাদের। প্রশাসকদের কমিটি নিয়োগ করা হয়। পরে ফিফার হুঁশিয়ারি বার্তা আসায় সেই কমিটি বাতিল করে দ্রুত নির্বাচন করা হয়। নির্বাচনে বাইচুং ভুটিয়াকে হারিয়ে সভাপতি হন কল্যাণ চৌবে।