সার্বিয়া দলে ঝামেলা দুই ফুটবলারের। প্রতীকী ছবি
বিশ্বকাপে শুক্রবার সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচে নামছে সার্বিয়া। তার আগেই অভ্যন্তরীণ গন্ডগোলে বিদ্ধ তারা। দলের এক সতীর্থের স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে এক ফুটবলারের বিরুদ্ধে। সেই ফুটবলার যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু বিতর্ক তাতে কমছে না একটুও।
বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন স্ট্রাইকার দুসান ভ্লাহোভিচ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে দলের গোলকিপার প্রেদ্রাগ রাজকোভিচের স্ত্রী আনার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের। সার্বিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবর, দু’জনে নিশিযাপনও করেছেন। সুইৎজারল্যান্ড ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে এসে আগেই এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। দুসান বলেছেন, “এ ভাবে সাংবাদিক বৈঠক শুরু করতে হওয়ায় দুঃখিত। কিন্তু এ ব্যাপারে কথা বলতেই হবে। কারণ আমার নামে নোংরা রটনা ছড়ানো হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “সাধারণত এ ধরনের যা শুনি বা দেখি, তাতে খুব একটা পাত্তা দিই না। আসলে যারা এ সব লেখে, তাদের কাছে আর কোনও কাজ নেই। ওরা হয় হতাশ, না হয় খুব রেগে গিয়েছে। তবু দলের স্বার্থে আমাকে মুখ খুলতেই হচ্ছে। একটা কথাই বলতে পারি, অত্যন্ত জঘন্য কথা লেখা হচ্ছে। আমি এর থেকে নিজের নাম সরাতে চাই।”
সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিতলে বা ড্র করলে পরের পর্বে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে সার্বিয়া। তাই কোনও ভাবেই দলের মনোযোগ নড়তে দিতে রাজি নন দুসান। তিনি নিজেও অনেক কঠিন পথ পেরিয়েছে। গত মাসে তাঁর ছেলে গুরুতর অসুস্থ থাকাকালীন এক সপ্তাহ হাসপাতালেই ছিলেন স্ত্রী তাদিজা। সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দুসান বলেছেন, “এর থেকেও খারাপ সময় দেখেছি আমরা। তখন সবাই আমাদের উপেক্ষা করেছে। তাদিজা কেমন আছে সেই খেয়াল কেউ রাখেনি। হয়তো ওরা এখন ভেবেছিল এ সব লিখলে আহত বাঘকে আর একটু খোঁচা দেওয়া যাবে। কিন্তু তাতে লাভ হবে না।”