পর্তুগাল দলের কাছে নেতা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোই। —ফাইল চিত্র
লুসেইল স্টেডিয়ামে বহু দর্শক এসেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর খেলা দেখবেন বলে। কিন্তু তাঁরা দেখে গেলেন তাঁর জায়গায় মাঠে নামা গনসালো র্যামোসকে। পর্তুগালের কোচ বলেছিলেন যে, মাঠে পৌঁছে প্রথম একাদশ বাছবেন। সেটাই করলেন। রোনাল্ডো অধিনায়ক তো দূর, প্রথম একাদশেই সুযোগ পেলেন না। যদিও তাঁর পরিবর্তে সুযোগ পেয়ে র্যামোস হ্যাটট্রিক করে গেলেন। ম্যাচ শেষে আবার সেই রোনাল্ডোকেই অধিনায়ক মানলেন র্যামোস।
মঙ্গলবার রাতে সুইৎজ়ারল্যান্ডকে ৬-১ গোলে হারায় পর্তুগাল। সেই ম্যাচে তিন গোল করেন র্যামোস। দলকে জিতিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এক জন প্রকৃত নেতার মতো দলের সকলের পাশে থাকেন রোনাল্ডো। র্যামোস বলেন, “দলের সকলের সঙ্গে কথা বলে রোনাল্ডো। আমার সঙ্গেও বলে। ও আমাদের নেতা। সব সময় চেষ্টা করে আমাদের সাহায্য করতে।” মঙ্গলবার মাঠে যদিও রোনাল্ডো প্রথম একাদশে না থাকায় দলকে নেতৃত্ব দিলেন পেপে। ৭৩ মিনিটে রোনাল্ডো মাঠে নামেন জোয়াও ফেলিক্সের পরিবর্তে। জালে এক বার বল জড়িয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু অফসাইডের জন্য সেটি বাতিল হয়ে যায়।
রোনাল্ডো এবং স্যান্টোসের মধ্যে একটা সংঘাত চলছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে রোনাল্ডোকে ম্যাচের মাঝেই তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কোচ। সেই সময় ৩৭ বছরের রোনাল্ডো যে অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন, তা ভাল ভাবে নেননি স্যান্টোস। সেই ম্যাচে মাঠ থেকে বেরোনোর সময় মুখে আঙুল দেখান রোনাল্ডো। স্যান্টোস বলেন, “আমার ভাল লাগেনি ওটা। কিন্তু ব্যাপারটা ওখানেই শেষ।” যদিও সুইৎজ়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামার আগে কোন দল নামবে বা কে অধিনায়ক হবেন তা পরিষ্কার করে বলেননি স্যান্টোস। তিনি বলেছিলেন, “আমি ম্যাচে নামার আগের মুহূর্ত অধিনায়ক ঠিক করি। কারা খেলবে তা এখনও জানি না। আমি এটাই করি। সেটাই করব।” রোনাল্ডোকে বেঞ্চে রেখেই মাঠে নামে পর্তুগাল।