বার বার এ ভাবেই মরোক্কোর সামনে আটকে গেল স্পেন। ছবি: পিটিআই
পায়ে বল রেখে খেলতে পছন্দ করে স্পেন। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা যে সেটাই করবে, তা জানতেন মরোক্কো কোচ ওয়ালিদ রেগ্রাগুই। সেই খেলা আটকানোর পরিকল্পনা করেই বাজিমাত করল মরোক্কো। পৌঁছে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে। প্রথম বার তারা বিশ্বকাপের শেষ আটে উঠল।
প্রথমে ৯০ মিনিট এবং পরে ৩০ মিনিটের অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে গোল করতে পারেনি কোনও দলই। পেনাল্টিতেও গোল করতে ব্যর্থ হয় স্পেন। সেখানে ৩-০ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যায় আফ্রিকার দেশ মরোক্কো। রেগ্রাগুই বলেন, “আমরা জানতাম যে, স্পেনের খেলা নির্ভর করে ওদের বল দখলের উপর। সেটার মাথায় রেখেই আমরা খেলেছি। কখনওই ওরা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেনি। আমরা লড়াই করেছি। মরোক্কোর মানুষ খুশি হয়েছে। আমরা ইতিহাস তৈরি করেছি। এটা মরোক্কোর প্রাপ্য। মাঠে আমাদের সঙ্গে মরোক্কোর সব মানুষও লড়াই করছিল।”
প্রথমার্ধের শুরু থেকেই বেশি আক্রমণে রাস্তায় হাঁটেনি স্পেন। তাদের ফুটবলাররা বল নিজেদের পায়ে বেশি ক্ষণ রাখার দিকেই নজর দেন। মরক্কো নির্ভর করেছিল প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলার উপর। স্পেনের বেশির ভাগ ফুটবলারই লক্ষ্য রাখছিলেন বিপক্ষের ভুলের দিকে। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে দেয়। কেন গ্রুপের শীর্ষ স্থানাধিকারী দল হয়ে নকআউটে উঠেছে মরক্কো, সেটা তারা বুঝিয়ে দেয় প্রতি মুহূর্তেই। ৫৪ মিনিটের মাথায় ফ্রিকিক পায় স্পেন। আসেনসিয়োর ফ্রিকিক থেকে বল পান দানি ওলমো। তাঁর কোনাকুনি শট বাঁচিয়ে দেন মরক্কোর গোলকিপার ইয়াসিন বোনো। এর পর পেনাল্টি কিকের সময় কার্লোস সোলের এবং সের্জিয়ো বুস্কেৎসের শট বাঁচিয়ে দেন তিনি। ম্যাচ শেষে বোকোকে নিয়ে নাচতে থাকেন দলের বাকি ফুটবলাররা।
কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের বিরুদ্ধে খেলতে হবে মরোক্কোকে। সুইৎজ়ারল্যান্ডকে যারা ৬ গোল দিয়ে এসেছে। শনিবার খেলতে নামবে সেই দুই দল। ভারতীয় সময় রাত ৮.৩০ মিনিটে হবে সেই ম্যাচ। সেই দিন রাতে ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ড মুখোমুখি হবে অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে। সেমিফাইনালে খেলবে এই দুই দলের বিজয়ী দল।
অন্য দিকে, কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি নেদারল্যান্ডস এবং আর্জেন্টিনা। অন্য ম্যাচে খেলবে ব্রাজিল এবং ক্রোয়েশিয়া। সেই দু’টি ম্যাচ হবে শুক্রবার। রাত ৮.৩০ মিনিটে ব্রাজিল এবং ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচ।