ম্যাচের মাঝেই মারপিট করছেন দু’দলের ফুটবলাররা। ছবি: রয়টার্স
নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যাচের মধ্যে এবং পরে বিপক্ষের ফুটবলারদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। বিষয়টি ভাল ভাবে নিচ্ছে না ফিফা। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে কড়া শাস্তি হতে পারে লিয়োনেল মেসিদের। ফিফা জানিয়েছে, আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা নিয়মভঙ্গ করেছেন।
শুক্রবার ম্যাচের শেষ দিকে দুই দলের ফুটবলাররা বার বার ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। তাতে ভূমিকা ছিল রেফারিরও। একের পর এক হলুদ কার্ড দেখানোর কারণে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক সময় আর্জেন্টিনা এবং নেদারল্যান্ডসের রিজার্ভ বেঞ্চের সদস্যরা একে অপরের বিরুদ্ধে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। আর্জেন্টিনার মার্কোস আকুনা একটি ফাউল মানতে না পেরে সপাটে নেদারল্যান্ডসের রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে শট মারেন। তার পরেই দু’দলের ফুটবলারদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। মেসি নিজেও নেদারল্যান্ডসের কোচ লুই ফান হালের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করেন। পেনাল্টি বাঁচিয়ে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তোলার পর গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেস ডাচ কোচকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
Fight between Argentina and Netherlands players. pic.twitter.com/gN5XRfEJaL
— Moby Dick (@BgsDanuMahendra) December 9, 2022
ম্যাচে রেকর্ড ১৬টি হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে। সাধারণত কোনও দল পাঁচটি হলুদ কার্ড দেখলে তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে ফিফা। এ ক্ষেত্রে আর্জেন্টিনার পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা হবে। দুই দেশের ফুটবল সংস্থাকেই ১৬ হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ১৩ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা) জরিমানা করা হতে পারে। এই বিশ্বকাপে দু’বার সৌদি আরবকে জরিমানা করা হয়েছে। যদি আলাদা করে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনা হয়, তা হলে জরিমানার অঙ্ক বাড়তে পারে। কবে সিদ্ধান্ত বলা হবে, তা জানায়নি ফিফা।