বড়দিনে মেসিকে স্যান্টা ক্লজ় বানিয়ে দিল আর্জেন্টিনা। ফাইল ছবি
সারা বিশ্বজুড়ে রবিবার পালন হচ্ছে বড়দিন। তবে আর্জেন্টিনায় একটু বিশেষ ভাবে। বিশ্বকাপ জেতার পর সবেমাত্র এক সপ্তাহ কেটেছে। আর্জেন্টিনার মানুষের উৎসব এখনও শেষ হয়নি। এ বারের বড়দিনটা একটু বিশেষ ভাবেই পালন করছেন তারা। সেটাই আরও বাড়িয়ে দিল আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থা। রবিবার তারা একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে, যা দেখে আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে সমর্থকদের। লিয়োনেল মেসিকেই আর্জেন্টিনার ‘স্যান্টা ক্লজ়’ বানিয়ে দিয়েছে তারা।
ভিডিয়োয় একটি বাচ্চা ছেলেকে দেখা যাচ্ছে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসতে। নামতে নামতে সে দেখে ক্রিসমাস ট্রি-র সামনে রাখা রয়েছে লাল রংয়ের একটি বড় বাক্স, যেটি লাল ফিতেয় বাঁধা। সাবধানে ফিতেটি খুলে বাক্সের ঢাকনা খুলতেই ছেলেটির বিস্মিত ছেলেটি। ভেতরে তুলোর মধ্যে শোয়ানো রয়েছে বিশ্বকাপের ট্রফি। কিছু ক্ষণ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকার পর ছেলেটি বিশ্বকাপে হাতে তুলে এক বার চুমু খেয়েই বলে ওঠে, “ধন্যবাদ পাপা লিয়োনেল।” আর্জেন্টিনায় স্যান্টা ক্লজ় পরিচিত ‘পাপা নোয়েল’ নামে। সেটাকেই পরিবর্তন করে পাপা লিয়োনেল বলা হয়েছে। ভিডিয়ো প্রকাশের পরেই তা তুমুল জনপ্রিয় হয়েছে।
¡Gracias Papá Lionel! 🎅 El regalo más preciado ya está en casa 🏆
— Selección Argentina ⭐⭐⭐ (@Argentina) December 24, 2022
¡Felicidades para todo el pueblo argentino! pic.twitter.com/lobbHa1hNR
ঘটনাচক্রে, মেসি এখন দেশেই রয়েছেন। গত বুধবার রোসারিয়ো পৌঁছন মেসি। ভিড়ের মধ্যে দিয়ে কোনও রকমে এগোচ্ছিল তাঁর গাড়ি। পছন্দের ফুটবলারকে এক বার দেখার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। মেসির গাড়ি ঘিরে ছিলেন পুলিশকর্মীরা। তাঁরাও কোনও রকমে বাড়ি পর্যন্ত মেসিকে পৌঁছে দেন। মেসি বাড়ির ভিতরে ঢুকে গেলেও ভিড় পাতলা হয়নি। তাঁর বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে সবাই উল্লাস করছিলেন। বারান্দায় এসে জনতার দিকে হাত নাড়তে দেখা যায় লিয়োকে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বিমানবন্দর থেকে বিখ্যাত সৌধ ‘ওবেলিস্ক’-এর উদ্দেশে হুডখোলা বাসে বিজয়যাত্রা করার কথা ছিল মেসিদের। সেই বাসযাত্রা শুরুও হয়েছিল নির্ধারিত সময়ে। কিন্তু যত বাস এগোতে লাগল, দেখা গেল সমর্থকদের আবেগের বিস্ফোরণ। বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে বুয়েনস আইরেস রুদ্ধ করে দিয়েছিলেন সে দেশের মানুষ। সরকারের অনুমান, প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ নেমেছিলেন রাস্তায়। এর মধ্যে ওবেলিস্কের আশপাশেই জড়ো হয়েছিলেন ৩০ লক্ষ। অনেক মানুষকে দেখা যায় উড়ালপুল ধরে বাসের পিছনে দৌড়তে। বাস এগোতেই পারছিল না ভিড়ের চোটে।