কাতারে গিয়ে প্রয়াত চিত্র সাংবাদিক। ছবি: টুইটার
কাতারে বিশ্বকাপ কভার করতে গিয়ে মৃত্যু হল আর এক সাংবাদিকের। কাতারের একটি টিভি চ্যানেলের চিত্র সাংবাদিক খালিদ আল-মিসলাম হঠাৎই মারা গিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর কোনও কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ফলে রহস্য বাড়ছে। কাতারে এই নিয়ে দ্বিতীয় সাংবাদিকের মৃত্যু হল। এর আগে আমেরিকার সাংবাদিক গ্রান্ট ওয়াল মারা গিয়েছিলেন।
যে সংস্থার হয়ে কাজ করতেন খালিদ, সেই টিভি চ্যানেল আল কাস জানিয়েছে, বিশ্বকাপ কভার করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পরিবারকে সান্ত্বনা জানানো হয়েছে। বাড়তি একটি শব্দও খরচ করা হয়নি। কী ভাবে, কোথায় তাঁর মৃত্যু হল, তা এখনও অজানা। ফলে রহস্য বাড়ছে তাঁর মৃত্যু নিয়ে। খালিদকেও খুন করা হয়েছে কিনা, বা কাতার সরকারের বিরোধী কোনও কাজ তিনি করেছিলেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডসের ম্যাচ কভার করতে ওয়াল ছিলেন কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে। তাঁর মৃত্যু নিয়ে বিতর্কের কারণ হল, কিছু দিন আগে কাতারের পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন। রামধনু রঙের পোশাক পরে এলজিবিটিকিউ কমিউনিটির প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি। তার পর তাঁকে আটক করা হয়। তার কিছু দিনের মধ্যেই এই মৃত্যু।
মৃত্যুকালে ওয়ালের বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর। আমেরিকা এবং ওয়েলসের খেলা দেখতে তিনি কাতারের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন রামধনু পোশাক পরে। তাঁকে সে দিন স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। কাতারে সমলিঙ্গ বিবাহ নিষিদ্ধ। সাংবাদিক টুইট করে জানিয়েছিলেন, পোশাকের কারণে তাঁর ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।
ওয়ালের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে কাতার সরকারের বিরুদ্ধে। তাঁর ভাই ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে বলেছেন, ‘‘আমার নাম এরিক ওয়াল, আমি গ্র্যান্টের ভাই। আমি সমকামী। আমার জন্যই গ্র্যান্ট রামধনু রঙের পোশাক পরেছিল। আমার দাদা সুস্থ ছিল। ও আমাকে জানিয়েছিল, ওকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি না, ও এমনি এমনি মরে গিয়েছে। আমার মনে হয় ওকে খুন করা হয়েছে। সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি।’’