ভারত কি বিশ্বকাপে যেতে পারবে ফাইল ছবি
কাতারেই শেষ বারের মতো দেখা যেতে চলেছে ৩২ দেশের ফুটবল বিশ্বকাপ। ২০২৬ থেকে দেশের সংখ্যা বেড়ে হবে ৪৮। প্রতিটি মহাদেশ থেকেই যোগ্যতা অর্জনকারী দেশের সংখ্যা বাড়তে চলেছে। এশিয়াও ব্যতিক্রম নয়। এত দিন এশিয়া থেকে চারটি দেশ সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেত। ২০২৬ থেকে আটটি দেশ খেলার সুযোগ পাবে। প্লে-অফে জিততে পারলে আরও একটি দেশের সামনে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ থাকছে।
সম্প্রতি এএফসি-র তরফে যোগ্যতা অর্জনের ফরম্যাট তৈরি করা হয়েছে। এএফসি-র অধীনে মোট ৪৭টি দেশ রয়েছে। ভারত এই মুহূর্তে রয়েছে ১৭ নম্বরে। ক্রমতালিকায় ২৬ থেকে ৪৭ নম্বরে থাকা দেশগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে খেলবে, যা হবে যোগ্যতা অর্জনের প্রথম রাউন্ড। সেখান থেকে ১১টি দল যোগ দেবে ক্রমতালিকায় থাকায় প্রথম ২৫ জনের সঙ্গে। মোট ৩৬টি দেশকে ন’টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতিটি গ্রুপে থাকবে চারটি করে দেশ।
প্রতিটি গ্রুপ থেকে প্রথম দু’টি দেশ যাবে যোগ্যতা অর্জন পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে। ১৮টি দেশকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতিটি গ্রুপে থাকবে ছ’টি দেশ। একে অপরের বিরুদ্ধে রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে খেলবে তারা। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষে থাকা দু’টি দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। অর্থাৎ মোট ছ’টি দেশের বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন হয়ে যাচ্ছে।
বাকি থাকছে দু’টি জায়গা। এ ক্ষেত্রে, আগের রাউন্ডে তিনটি গ্রুপের তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানাধিকারী দলগুলি প্লে-অফ খেলবে। সেখানে ছ’টি দেশকে নিয়ে দু’টি গ্রুপ তৈরি হবে। গ্রুপের বিজয়ী দুই দেশ সরাসরি বিশ্বকাপে যাবে। গ্রুপের দু’টি রানার্স-আপ দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে প্লে-অফ খেলবে। যে জিতবে, তারা অন্য কোনও মহাদেশের একটি দলের বিরুদ্ধে প্লে-অফ খেলবে। জয়ী দল বিশ্বকাপে যাবে।
ভারত যদি প্রথম ২৫টি দলের মধ্যে থাকে, তা হলে যোগ্যতা অর্জনের প্রথম পর্বে খেলতে হবে না। দ্বিতীয় পর্ব থেকে কঠিন লড়াই হতে পারে। সেখানে এশিয়ার প্রথম সারির দেশগুলির বিরুদ্ধে খেলতে হবে। প্রথম দু’য়ের মধ্যে শেষ করতে পারলে পরের পর্বে রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে আরও কঠিন দেশ সামনে পড়বে। সেটি পেরোতে পারলে তবেই মিলবে বিশ্বকাপের ছাড়পত্র।