সঞ্জীব গোয়েন্কা। —ফাইল চিত্র।
মুখের হাসিটা আরও চওড়া হল সঞ্জীব গোয়েন্কার। শনিবার দিনটা খুব ভাল গেল তাঁর। জোড়া ম্যাচ জিতলেন তিনি। দুপুরের ম্যাচে আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টস জিতেছে। পরে সন্ধ্যায় আইএসএল কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোহনবাগান।
শনিবার ক্রিকেট ও ফুটবলে গোয়েন্কার দু’টি দল খেলতে নেমেছিল। দুপুরে ঘরের মাঠে লখনউয়ের খেলা ছিল গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ জিতে নেয় লখনউ। গোয়েন্কা অবশ্য সেই ম্যাচে ছিলেন না। সাধারণত, আইপিএলে লখনউয়ের সব ম্যাচে থাকেন তিনি। কিন্তু একই দিনে আইএসএল কাপ ফাইনাল থাকায় ফুটবলকেই বেছে নেন গোয়েন্কা। তিনি যে শনিবার যুবভারতীতে থাকবেন তা শুক্রবারই জানিয়েছিল আনন্দবাজার ডট কম। সন্ধ্যায় দেখা গেল সেটাই সত্যি। যুবভারতীতে রয়েছেন দলের মালিক।
যুবভারতীতে লড়াই সহজ ছিল না মোহনাবাগানের। বেঙ্গালুরু প্লে-অফে খুব ভাল খেলেছিল। গোয়াকে তাদের মাঠে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল। শনিবার ফাইনালে প্রথমার্ধ জুড়ে দাপট দেখান সুনীল ছেত্রীরা। দেখে মনেই হচ্ছিল না, মোহনবাগান ঘরের মাঠে খেলছে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চাপে পড়ে আত্মঘাতী গোল করে ফেলেন মোহনবাগানের ডিফেন্ডার আলবের্তো রদ্রিগেস। পিছিয়ে পড়ে বাগান। গ্যালারির ৫৯,১১২ দর্শক স্তব্ধ হয়ে যান। সেই সময় গোয়েন্কার মুখেও চিন্তার ভাঁজ ফুটে উঠেছিল।
তবে হাল ছাড়েনি বাগান। পাল্টা আক্রমণে ওঠে তারা। বক্সে বেঙ্গালুরুর ডিফেন্ডার চিংলেনসানা হ্যান্ডবল করায় পেনাল্টি পায় বাগান। স্পট থেকে গোল করতে ভুল করেননি জেসন কামিংস। তবে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে জিততে পারেনি কোনও দল। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেই গোল করেন জেমি ম্যাকলারেন। মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন তিনি। দল এগিয়ে যাওয়ার পরে দেখা যায়, গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে চোখ বন্ধ করে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন গোয়েন্কা। আর ফিরতে পারেননি সুনীল ছেত্রীরা। ১-২ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ে বেঙ্গালুরু।
খেলা শেষে মাঠে উল্লাসে মাতেন মোহনবাগান ফুটবলারেরা। ছিলেন কোচ ও সাপোর্ট স্টাফেরাও। গ্যালারিতে সবুজ আবির মাখতে শুরু করেন দর্শকেরা। তাঁদের বাঁধভাঙা উল্লাস চোখে পড়ছিল। ফুটবলারদের সঙ্গে উল্লাস করতে মাঠে নামেন গোয়েন্কা নিজেও।