ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। —ফাইল চিত্র।
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর আল নাসের। তারা ২-০ গোলে হারাল ইরানের ক্লাব পারসেপোলিসকে। রোনাল্ডো ৯০ মিনিট মাঠে থাকলেও এই ম্যাচ গোল পাননি।
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচেই একটি নজির গড়লেন রোনাল্ডো। মঙ্গলবার রাতের ম্যাচ তাঁর ফুটবলজীবনে বিশেষ হয়ে থাকবে। পেশাদার ফুটবলে এই নিয়ে ১০০০তম ম্যাচে অপরাজিত (জয় বা ড্র) থেকে মাঠ ছাড়লেন তিনি। এর মধ্যে ৭৭৬টি ম্যাচ জিতলেন এবং ২২৪টি ম্যাচ শেষ হয়েছে অমীমাংসিত ভাবে।
পারসেপোলিসকে হারাতে তেমন বেগ পেতে হয়নি আল নাসেরকে। ১০ জনের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সারাক্ষণই দাপট ছিল রোনাল্ডোদের। দলগত শক্তির বিচারে অনেক এগিয়ে থেকেই মাঠে নেমেছিল আল নাসের। পাশাপাশি, পারসেপোলিস এই ম্যাচে সমর্থকদের সমর্থনও পায়নি। কারণ, ২০২১ সালে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন ইরানের ক্লাবটিকে শাস্তি দিয়েছিল। তাদের একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে সমর্থকদের নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তার পর মঙ্গলবার রাতে আল নাসেরের বিরুদ্ধেই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলল পারসেপোলিস। তাই ম্যাচে সমর্থকদের প্রবেশাধিকার ছিল না।
রোনাল্ডোরা অবশ্য আরও বেশি গোলের ব্যবধানে জিততে পারতেন। গোলের বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন তাঁরা। প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি কোনও দল। আল নাসেরের দু’টি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। আল নাসেরের প্রথম গোলটি অবশ্য পারসেপোলিসের এক ফুটবলারের ভুলে। ইরানের ক্লাবটির রাইট ব্যাক দানিয়াল এসমায়েলিফায়ে আত্মঘাতী গোল করেন। দ্বিতীয় গোলটি এসেছে মোহাম্মেদ কাসেমের পা থেকে। ম্যাচের ৫২ মিনিটে রোনাল্ডোকে বাজে ভাবে ফাউল করার জন্য লাল কার্ড দেখেন পারসেপোলিসের মিডফিল্ডার মিলাদ সারলাক।
এশীয় ফুটবলের সেরা লিগের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়ে উচ্ছ্বসিত রোনাল্ডো। সমাজমাধ্যমে ফুটবলপ্রেমীদের সঙ্গে নিজের আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। তাতে রোনাল্ডো লিখেছেন, ‘‘জয়টা দারুণ। সমর্থকদের বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ এবং ইরানের সব মানুষকে ধন্যবাদ। তাঁরা হৃদয় উষ্ণ করে দেওয়ার মতো অভ্যর্থনা জানিয়েছেন আমাদের।’’
২০১৬ সালের পর ইরানে খেলতে এল সৌদি আরবের কোনও ক্লাব। রাজনৈতিক টানাপোড়েনের জন্য এর মধ্যে নিরপেক্ষ মাঠে খেলতে হয়েছে দু’দেশের ক্লাবগুলিকে।