রোনাল্ডো থাকলে ম্যান ইউকে খারাপ ভাবে হারতে হত না। দাবি করলেন প্রাক্তন সতীর্থ। ফাইল ছবি
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে অনেক দিন আগেই সৌদি আরবের আল নাসেরে যোগ দিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। নতুন ক্লাবে গিয়ে জমিয়েও দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর পুরনো ক্লাব বেশ বিপদে। সম্প্রতি ইপিএলে লিভারপুলের কাছে ০-৭ গোলে হেরেছে তারা। এখনও সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এর মাঝেই ম্যান ইউয়ে খেলা রোনাল্ডোর প্রাক্তন সতীর্থ দাবি করলেন, পর্তুগিজ ফুটবলার থাকলে এত খারাপ ভাবে ম্যান ইউকে হারতে হত না।
এই মরসুমে লিভারপুলের বিরুদ্ধে প্রথম পর্বের সাক্ষাতের সময় রোনাল্ডো ছিলেন ম্যান ইউয়ে। সেই ম্যাচে জিতেছিল তারা। এ বার হারতে হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে প্রাক্তন ফুটবলার লুই সাহা বলেছেন, “রোনাল্ডো চলে যাওয়ার পরে ইউনাইটেড সব কিছু নতুন ভাবে শুরু করেছে। নতুন পরিকল্পনা করার সুযোগ পেয়েছে কোচ টেন হ্যাগ। দলের মধ্যে জেতার মানসিকতা ফিরে এসেছে। এই মুহূর্তে ক্রিশ্চিয়ানো দলের সঙ্গে থাকলে আরও ভাল হত। ইউনাইটেডকে এখন দেখে খারাপ লাগছে। লিভারপুলের কাছে ০-৭ হার কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। ক্রিশ্চিয়ানো থাকলে এত খারাপ ফলাফল কখনওই হত না।”
রবিবার লিভারপুলের কাছে সাত গোল হজম করে ম্যান ইউ। খেতাবি দৌড় থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়া লিভারপুলের কাছে এই ম্যাচ ছিল নিজেদের পায়ের নীচে মাটি ফিরে পাওয়ার। সেই লক্ষ্যে ম্যাচের শুরু থেকে প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবলেই ম্যান ইউ রক্ষণকে প্রবল চাপে ফেলে দিলেন মহম্মদ সালাহরা। ডাচ তারকা কোডি গাকপো নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ৫০ মিনিটে। তার আগেই অবশ্য চোট সারিয়ে ফেরা উরুগুয়ের নতুন আবিষ্কার নুনেজ় গোল করে যান। তিন গোলে পিছিয়ে পড়ার পরেই ম্যান ইউয়ের ফুটবল ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সালাহ জোড়া গোল করে ম্যান ইউকে শেষ করে দেয়। গাকপোর পরিবর্ত হিসেবে খেলতে নামা ব্রাজিলীয় তারকা রবের্তো ফির্মিনো গোল করেন ৮৮ মিনিটে।
কেউ কেউ রবিবার লিভারপুলের গোল-তাণ্ডবের মধ্যে খুঁজে পাচ্ছিলেন ২০১১ সালে ইপিএলে ম্যান ইউ-এর কাছে আর্সেনালের ৮-২ গোলে হারের সাদৃশ্য। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৩১ সালে উলভসের বিরুদ্ধে ০-৭ গোলে ম্যান ইউয়ের হারের পরে ফের নতুন ভাবে এক লজ্জার অধ্যায় যুক্ত হল ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ইতিহাসে। তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। পুরো ম্যাচে ম্যান ইউয়ের গোল লক্ষ্য করে আটটি শট নিয়েছিল লিভারপুল। তার মধ্যে গোল সাতটি!