Bhaskar Ganguly

Bhaskar Ganguly: দ্রুত এআইএফএফ-এর নির্বাচন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি ভাস্করের

প্রফুল্ল পটেল এক দশকের বেশি এআইএফএফ-এর সভাপতি। জাতীয় ক্রীড়া নীতি অনুযায়ী এক জন সর্বোচ্চ ১২ বছর কোনও ক্রীড়া সংস্থার শীর্ষ পদে থাকতে পারেন।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২২ ২২:০১
ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়।

ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।

সুপ্রিম কোর্ট মনোনিত প্রশাসকমণ্ডলী সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের যে নতুন সংবিধান তৈরি করেছে, তা অনুমোদন করার জন্য দেশের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানালেন ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়।

শীর্ষ আদালত মনোনিত প্রশাসক মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য দেশের প্রাক্তন ফুটবল অধিনায়ক ভাস্কর। প্রধান বিচারপতিকে তাঁদের তৈরি সংবিধান অনুমোদন করার পাশাপাশি এআইএফএফ-কে নির্বাচন করার জন্য নির্দেশ দিতেও অনুরোধ করেছেন প্রাক্তন গোলরক্ষক। প্রধান বিচারপতি এনভি রামানাকে লেখা চিঠিতে ভাস্কর জানিয়েছেন, তিনি এবং সহ-প্রশাসক এসওয়াই কুরেশি ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসেই নতুন সংবিধানের খসড়া ফেডারেশনের কাছে জমা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে শীর্ষ আদালত প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি এবং ভাস্করের প্রশাসকমণ্ডলীকে নির্দেশ দেয় জাতীয় ক্রীড়া নীতি অনুযায়ী ফেডারেশনের নতুন সংবিধান তৈরি করার।

প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া চিঠিতে ভাস্কর লিখেছেন, ‘‘জাতীয় ক্রীড়া নীতি অনুযায়ী ফেডারেশনের নতুন সংবিধানের খসড়া আমরা ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসেই দিয়েছি। কিন্তু এখনও এ ব্যাপারে কোনও অগ্রগতি হয়নি। এর ফলে এআইএফএফ নির্বাচন করা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি এবং সংস্থার বর্তমান সভাপতি ইতিমধ্যেই তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ করেছেন। মহামান্য আদালতের কাছে আমার অনুরোধ এই বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হোক এবং নতুন সংবিধানকে অনুমোদন দিয়ে ফেডারেশনকে সেই মতো নির্বাচন করার নির্দেশ দেওয়া হোক। যাতে ভারতীয় ফুটবলের উন্নয়নের প্রক্রিয়া থমকে না থাকে।’’ ভাস্কর চিঠিতে আরও লিখেছেন, ‘‘সরকার বা এআইএফএফ-এর কোনও রকম আর্থিক সাহায্য ছাড়াই তিনি এই দায়িত্ব পালন করছেন। সে কারণে তাঁর পক্ষে কোনও আইনজীবীকে নিয়োজিত করা সম্ভব নয়।’’

Advertisement

এআইএফএফ সংক্রান্ত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ওঠার কথা আগামী দিনে। বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি পিএস নরসীমা। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবারই শীর্ষ আদালত ফেডারেশনের বিরুদ্ধে দায়ের করা দিল্লি ফুটবল ক্লাবের মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে। দিল্লি ফুটবল ক্লাবে অভিযোগ, অবৈধ এবং সংবিধান বহির্ভূত ভাবে প্রফুল্ল পটেল এক দশকের বেশি সময় এআইএফএফ-র সভাপতির পদ আঁকড়ে রয়েছেন।

অন্য দিকে, আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ প্রধান বিচারপতি রামানার নেতৃত্বধীন একটি বেঞ্চকে জানান, ২০১৭ সালে দিল্লি হাইকোর্টে ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি না হওয়ায় একটি অবৈধ কমিটি ফেডারেশনের মাথায় বসে রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে এআইএফএফ-র নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও সংস্থার সংবিধান নিয়ে মামলা দায়ের হওয়ায় তা করা সম্ভব হয়নি। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসেই প্রফুল্ল পটেল ফেডারেশন সভাপতি হিসেবে তিনটি পূর্ণ মেয়াদ বা ১২ বছরের কার্যকাল সম্পূর্ণ করেছেন। জাতীয় ক্রীড়া নীতি অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১২ বছর কোনও ক্রীড়া সংস্থার শীর্ষ পদে থাকতে পারেন।

আরও পড়ুন:

মাস খানেক আগে নির্বাচন না হওয়ার কথা শীর্ষ আদালতকে জানায় এআইএফএফ। আদালতের কাছে জানতে চায় নতুন সংবিধান কী অবস্থায় রয়েছে। কারণ, গোটা বিষয়টিই ২০১৭ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে রয়েছে। গত মাসেই আবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানায়, ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কোনও নির্দেশ প্রফুল্ল পটেলকে দেওয়া হয়নি। কারণ তিনি আগেই সংস্থার শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে তিনটি মেয়াদ সম্পূর্ণ করেছেন। তাই দেরি না করে অবিলম্বে নির্বাচন হওয়া উচিত।

আরও পড়ুন
Advertisement