ফরাসি লিগেও মেসি, এমবাপের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি দৌড় কি দেখা যাবে? ফাইল ছবি
বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছেন দু’জনেই। সেখানে দলগত লড়াই ছাড়াও মুখ্য হয়ে উঠেছে তাঁদের ব্যক্তিগত লড়াই। লিয়োনেল মেসি এবং কিলিয়ান এমবাপে। বিশ্বকাপে প্রতি ম্যাচে একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এমবাপের ফ্রান্সকে হারিয়ে মেসির আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতলেও, একটি বিষয়ে মেসিকে টপকে গিয়েছেন এমবাপে। সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন তিনি। ফরাসি লিগে দু’জনে একই ক্লাবে খেলেন। সেখানেও কি এই মরসুমে লড়াই দেখা যাবে?
বিশ্বকাপে মেসি এবং এমবাপে, দু’জনেই আটটি করে ম্যাচ খেলেছেন। পোল্যান্ড ম্যাচ বাদে প্রতি ম্যাচেই গোল করেছেন মেসি। তার সাতটি গোলের মধ্যে চারটি এসেছে পেনাল্টি থেকে। এমবাপে দু’টি ম্যাচে গোল পাননি। কিন্তু দু’টি ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন। ফাইনালে তো সবাইকে ছাপিয়ে হ্যাটট্রিকই করেছেন। তবু ট্রফি জিততে পারেনি। একটা সময় মনে হচ্ছিল মেসিই হয়তো বেশি গোল করার জন্য সোনার বুট পাবেন। কিন্তু ফাইনালে প্রথম ৬০ মিনিট নিষ্প্রভ থেকেও এমবাপে যে ও ভাবে খেলে দেবেন, এটা অনেকেই ভাবতে পারেননি। বিশ্বকাপে এমবাপের নামের পাশে আটটি গোল। সেখানে মেসির পাশে ছিল সাতটি গোল। ফাইনালে মেসিও জোড়া গোল করেছিলেন।
ফরাসি লিগে অবশ্য এমবাপের ধারেকাছে কেউ নেই। এই মরসুমে তিনিই সর্বোচ্চ গোলদাতা। ১৩টি গোল করে সবার উপরে রয়েছেন। তাঁর পিছনে রয়েছেন ক্লাব সতীর্থ নেমার। তাঁর নামের পাশে ১১টি গোল। যুগ্ম পঞ্চম স্থানে রয়েছেন মেসি। বুধবারের ম্যাচ ধরলে তিনি ন’টি গোল করেছেন। আগামী রবিবার রেনেঁর বিরুদ্ধে ম্যাচ। সেখানেও হয়তো এমবাপে খেলবেন না। ফলে মেসির কাছে ব্যবধান কমানোর আরও একটি সুযোগ রয়েছে।
তবে মরসুম শেষে এমবাপেকে টপকাতে হলে মেসির সামনে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। কারণ গত চার মরসুমে প্রতি বারই পিএসজি-র হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন এমবাপে। এ বারও তিনি সবার আগে। এবং খুব বড় অঘটন না হলেও, তিনিই সবার আগে শেষ করবেন। তা ছাড়া, ক্লাবে এখন মেসির ভূমিকা হয়েছে প্লে-মেকারের। অর্থাৎ গোল করতে নয়, গোল করাতে বেশি পছন্দ করেন তিনি। আগামী দিনেও সেই ভূমিকার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। রয়েছেন নেমারও। যিনি নিজেও মেসিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি থাকবেন।
গোল করার ব্যাপারে বার্সেলোনায় স্বপ্নের ছন্দে ছিলেন মেসি। পাশে জাভি, আন্দ্রে ইনিয়েস্তার মতো ফুটবলার থাকায় গোল করা নিয়ে মেসিকে বিশেষ ভাবতে হয়নি। বল ঠিক পেয়েই যেতেন। এক মরসুমে ৯০-এরও বেশি গোল করার নজির রয়েছে মেসির। এখন অবশ্য তাঁর সেই ছন্দ নেই। বয়সও পাশে নেই। ফলে এখন গোল করার থেকে গোল করানোতেই বেশি মজা পান মেসি।