এমিলিয়ানো মার্তিনেস। ছবি: টুইটার।
শহরে চলে এসেছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। ছিলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। সেই সঙ্গে অসংখ্য সমর্থক আর্জেন্টিনার পতাকা নিয়ে, জার্সি পরে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক সোমবার ভোরে বাংলাদেশ পৌঁছেছিলেন। সেখান কয়েক ঘণ্টা কাটিয়ে চলে এলেন কলকাতায়। আগামী দু’দিন শহরেই থাকবেন মার্তিনেস। লিয়োনেল মেসির সতীর্থ এই শহরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
কলকাতায় এসে উচ্ছ্বসিত মার্তিনেস। এত সমর্থককে দেখে খুশি তিনি। মার্তিনেস বলেন, “কলকাতার মানুষ ফুটবল পাগল। সেটা বুঝতে পারছি। এত সমর্থক এখানে এসেছেন। এটাই বুঝিয়ে দেয় যে তারা কতটা ফুটবল ভালবাসেন। মোহনবাগান ক্লাবে যাওয়ার জন্য আমি মুখিয়ে আছি। আশা করিনি কলকাতা এসে আমি এত সমর্থন পাব।” ক্রীড়া সংগঠক শতদ্রু দত্তকে কলকাতায় নিয়ে এসেছেন। তিনি বিমানবন্দরে ছিলেন। সেখান থেকে মার্তিনেস বাইপাসের ধারের একটি বিলাসবহুল হোটেলে চলে গিয়েছেন। সেখানেই বিশ্রাম নেবেন তিনি। সোমবার শহরে এলেও এ দিন কোনও অনুষ্ঠান নেই। মঙ্গলবার থেকে যাবতীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মার্তিনেস।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ স্পনসরদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। মিলনমেলা প্রাঙ্গনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মার্তিনেস। সেখানে সংবর্ধনা দেওয়া হবে তাঁকে। একটি আলোচনাতেও অংশ নেবেন মার্তিনেস। তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘তাহাদের কথা।’ সেখানে নিজের জীবন ও ফুটবলে সাফল্যের নেপথ্য কাহিনি জানাবেন মেসিদের দলের গোলরক্ষক। মিলনমেলার সেই অনুষ্ঠানে থাকবেন ইস্টবেঙ্গলের কর্তারাও। মার্তিনেসকে সংবর্ধনা দেবেন তাঁরা।
বিকেলের দিকে মোহনবাগান তাঁবুতে যাবেন মার্তিনেস। মোহনবাগানের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষককে। থাকছে চমক। ‘মোহনবাগান রত্ন’ স্মারক তুলে দেওয়া হবে মার্তিনেসের হাতে। এই ঘোষণা আগে করা হয়নি। এর পর কিছু নির্বাচিত ক্লাবকর্তার সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানেই নতুন করে ১০ জনকে আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হচ্ছে মোহনবাগানের তরফে। সেই ১০ জনের হাতে আজীবন সদস্যপদ তুলে দেবেন মার্তিনেস।
সেই সঙ্গে মোহনবাগানে ক্লাবে পেলে, দিয়েগো মারাদোনা এবং গ্যারি সোবার্সের নামে যে গেট রয়েছে তার উদ্বোধন করবেন মার্তিনেস। এর পর মোহনবাগান মাঠে ফ্রেন্ডশিপ কাপের ম্যাচ রয়েছে। কলকাতা পুলিশ অলস্টার্স বনাম মোহনবাগান অলস্টার্সের খেলা হবে। গ্যালারি থেকে সেই ম্যাচ দেখবেন বিশ্বজয়ী গোলকিপার।
বুধবার ১১.৪৫ মিনিটে তিনি সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে যাবেন। সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এর পর বাংলার বিভিন্ন ক্লাবের জুনিয়র এবং সাব-জুনিয়র পর্যায়ের গোলকিপারদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। নিজস্ব অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেবেন। এর পর তাঁর যাওয়ার কথা মন্ত্রী সুজিত বসুর ক্লাব শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ে। সেখানেও সংবর্ধনা এবং কিছু কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সেখানে মার্তিনেসের হাতে সোনালি গ্লাভসের একটি ট্রফি তুলে দেওয়া হবে। তার পর রিষড়ায় যাবেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার। মাঝে তিনি দেখা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তবে কোথায় দেখা হবে তা চূড়ান্ত নয়। বুধবার বিকেলের দিকে দেশে ফেরার বিমান ধরবেন তিনি।