চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার ইচ্ছা রয়েছে মার্তিনেসের। —ফাইল ছবি।
বিশ্বকাপের সময় থেকে আলোচনায় উঠে এসেছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। ইউরোপের প্রথম সারির একাধিক ক্লাব পেতে চায় লিয়োনেল মেসির প্রিয় দিবুকে। অ্যাস্টন ভিলা কোচ উনাই এমেরির সঙ্গে সম্প্রতি মতবিরোধ হয় তাঁর। তার পর থেকে মার্তিনেসের ক্লাব ছাড়া নিয়ে জল্পনা বেড়েছে। কিন্তু তিনি কি ক্লাব ছাড়বেন?
একাধিক বড় ক্লাব মোটা অর্থের প্রস্তাব দিলেও অ্যাস্টন ভিলা ছাড়ার ইচ্ছা নেই মার্তিনেসের। সম্প্রতি এমনই জানিয়েছেন তিনি। তা হলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার ইচ্ছার কী হবে? এক সাক্ষাৎকারে মার্তিনেস বলেছেন, ‘‘চাইলে এখন সহজেই ক্লাব পরিবর্তন করতে পারি। তবে অ্যাস্টন ভিলায় যোগ দেওয়ার পর থেকে আমার ফুটবলজীবন বদলে গিয়েছে। অনেক সাফল্য পেয়েছি। সব সময় বলেছি, এই ক্লাবের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এই ক্লাবকে আমি ভালবাসি। আমার পরিবারও খুশি ক্লাব নিয়ে। আমার ছেলেও ফুটবল পাগল। ওর বয়স এখন ছয়ের কম। ক্লাবের অ্যাকাডেমিতে খেলা শিখছে। সব মিলিয়ে এখানে দারুণ সময় কাটাচ্ছি আমরা। আশা করি, আরও অনেক বছর এ ভাবেই কাটাতে পারব।’’
তা হলে কি প্রথম সারির ক্লাবগুলির প্রস্তাব আপনাকে আকৃষ্ট করছে না? এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন মার্তিনেস। ক্লাবকে বাডির সঙ্গে তুলনা করেছেন মেসির সতীর্থ। তিনি বলেছেন, ‘‘বাড়িতে এত স্বাচ্ছন্দ্যে থাকি না।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমি ভীষণ উচ্চাকাঙ্ক্ষী। সব সময় উন্নতির চেষ্টা করি। সব সময় চেষ্টা থাকে প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়ার।’’
কিছু দিন আগে আর্সেনালের কাছে বাজে গোল খাওয়ায় মার্তিনেসের সমালোচনা করেছিলেন অ্যাস্টন ভিলার কোচ এমেরি। তা নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন মার্তিনেস। সম্প্রতি ক্লাবের হয়ে ৯৯টি ম্যাচ খেলে ৩৩টি ম্যাচে গোল না খাওয়ার নজির গড়েছেন ৩০ বছরের গোলরক্ষক। ভেঙেছেন মার্ক বসনিচ এবং ব্র্যাড ফ্রিডেলের নজির। তাঁরা ১০০টি ম্যাচ খেলে ৩২টি ম্যাচে গোল খাননি। এ নিয়ে মার্তিনেস বলেছেন, ‘‘কোনও ম্যাচ ৩-১ ব্যবধানে জিতেও বাড়ি ফিরে শান্তিতে ঘুমাতে পারি না। শুধু মনে হয় কী করলে আরও ভাল ফল হতে পারত। গোল খেতে পছন্দ করি না। সব ম্যাচে লক্ষ্য থাকে, একটাও গোল না খাওয়ার।’’
একাধিক ক্লাবের লোভনীয় প্রস্তাব রয়েছে মার্তিনেসের কাছে। আগামী গ্রীষ্মে তাঁরা আর্জেন্টিনার গোলরক্ষককে দলে নেওয়ার জন্য ঝাঁপাতে পারে। মার্তিনেসকে চড়া দামে বিক্রি করতে আপত্তি নেই অ্যাস্টন ভিলা কর্তৃপক্ষেরও। কিন্তু মেসির প্রিয় সতীর্থ ক্লাব নিয়ে আবেগপ্রবণ।