মোহনবাগান অধিনায়ক ব্রেন্ডন হামিল। —ফাইল চিত্র।
অনেক বছর পর কলকাতা ডার্বিতে দাপট দেখা গেল ইস্টবেঙ্গলের। কলিঙ্গ সুপার কাপের ম্যাচে মোহনবাগানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠল লাল-হলুদ। কিন্তু মোহনবাগানের হারের নেপথ্যে কিছু ফুটবলার দায় এড়াতে পারবেন না। আনন্দবাজার অনলাইন বেছে নিল তিন ফুটবলারকে যাঁদের জন্য শুক্রবার হারতে হল মোহনবাগানকে।
হুগো বুমোস: মোহনবাগান সমর্থকেরা বুমোসকে ক্ষমা করতে পারবেন না। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল সবুজ-মেরুন। পেনাল্টি মারতে গিয়েছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। তিনি গোলও করে দিয়েছিলেন। কিন্তু পেত্রাতোস শট নেওয়ার আগেই পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন বুমোস। সেই কারণে গোল বাতিল করে দেওয়া হয়। আরও এক বার পেনাল্টি মারা সুযোগ দেওয়া হলেও গোল করতে পারেননি পেত্রাতোস। তাঁর শট পোস্টে লাগে। বুমোস যদি বক্সে না ঢুকতেন তাহলে এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেত বাগান।
অর্শ আনওয়ার: মোহনবাগানের প্রধান গোলরক্ষক বিশাল কাইত দেশের হয়ে খেলতে দিয়েছেন। সেই জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন অর্শ। কিন্তু ডার্বিতে তিনি যে ভুল করলেন, তাতে আগামী দিনে তাঁকে দলে রাখা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে পারে। ৮০ মিনিটের মাথায় হিজাজি মাহেরের গোলমুখী হেড আটকাতে গিয়ে ভুল করেন অর্শ। তিনি বুঝতেই পারলেন না বল কী ভাবে ধরতে হবে। তাঁর বুকে লেগে হাত গোলে বল চলে যায় ক্লেটন সিলভার কাছে। গোল করতে ভুল করেননি লাল-হলুদ স্ট্রাইকার।
গ্লেন মার্টিন্স: গোটা ম্যাচে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না গোয়ার এই ফুটবলারকে। তিনি নাকি সবুজ-মেরুনের প্রাক্তন কোচ জুয়ান ফেরান্দোর পছন্দের ফুটবলার। সেই কারণেই দলে ছিলেন। আগামী দিনে তাঁকে দলে দেখতে না পাওয়া গেলেও অবাক হওয়ার থাকবে না। আন্তেনিয়ো হাবাস দায়িত্ব নিলে মার্টিন্স বাদ পড়তে পারেন। ৬১ মিনিটে তাঁকে তুলে নিতে বাধ্য হন সবুজ-মেরুন কোচ। মার্টিন্সের জায়গায় নামানো হয় জেসন কামিংসকে।