আইপিএল-এ পাকিস্তানীরা ব্রাত্য। ভারত এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের আইপিএল-এ খেলার অনুমতি নেই।
শুধু প্রথম আইপিএল-এ পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের খেলতে দেখা গিয়েছিল। সে বার শোয়েব আখতার-সহ মোট ১১জন পাকিস্তানি ক্রিকেটার আইপিএল-এ খেলেছিলেন।
এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন পাক ক্রিকেটাররা। পাকিস্তানই একমাত্র দেশ, যারা গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে উঠেছে।
সামনের বছর আইপিএল-এর বড় নিলাম। কিন্তু এ বারও পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের আইপিএল-এ খেলতে দেখা যাবে না।
যদি পাক ক্রিকেটাররা আইপিএল-এ খেলার অনুমতি পেতেন, তা হলে নিলামে তাদের কোন পাঁচ ক্রিকেটারকে নিয়ে কাড়াকাড়ি হত, দেখে নেওয়া যাক।
পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে নিয়ে সবথেকে বেশি টানাটানি হত। গত পাঁচ বছরে বাবরের মতো আর কোনও তরুণ ক্রিকেটার এতটা নজর কাড়েননি। ৬৬টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে বাবরের ২৪৬৮ রান রয়েছে। স্ট্রাইক রেট ১৩০-এর উপর। এ বারের টি২০ বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
ওপেনিংয়ে বাবরের সঙ্গী মহম্মদ রিজওয়ানেরও প্রচুর টাকা দর উঠত। গত দুই বছরে সব ধরনের ক্রিকেটে তিনি পাকিস্তানের সবথেকে ধারাবাহিক ব্যাটার। এই বছরে রিজওয়ানের থেকে বেশি রান টি২০ আন্তর্জাতিকে আর কারও নেই। এই বছর ২২টি ম্যাচে ৮৭.৮১ গড়ে ৯৬৬ রান করেছেন তিনি।
বাঁহাতি জোরে বোলার শাহিন শা আফ্রিদি ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি বেগে বল করেন। আইপিএল-এর নিলামে নাম উঠলে হয়ত তাঁকে নিয়েই সবথেকে বেশি সময় ব্যয় হত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর। কেউই ছাড়তে চাইত না তাঁকে।
ব্যাট এবং বল দু’টি ক্ষেত্রেই অত্যন্ত উপযোগী। একেবারে টি২০ ক্রিকেটের উপযুক্ত অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম। বিশেষ করে পাওয়ার প্লে-তে তাঁর রান আটকে রাখার ক্ষমতা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁকে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য করে তুলেছে। আইপিএল-এও তাঁকে নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যেত।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে কোনও দলই ভাল ফিনিশার চাইবে। সেই ভূমিকায় একেবারে উপযুক্ত আসিফ আলি। এ বারের বিশ্বকাপেই নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর ঝোড়ো ইনিংস পাকিস্তানকে জিতিয়েছে। ওই দু’টি ইনিংস তিনি না খেললে পাকিস্তান দু’টি ম্যাচই হেরে যেতে পারত।