শূন্যতায়: ইউরোর শেষ আটে পৌঁছতে ব্যর্থ গত বারের চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল। বেলজিয়ামের কাছে হারের পরে হতাশ রোনাল্ডো। রবিবার। ছবি রয়টার্স।
ইউরো ২০২০
বেলজিয়াম ১ পর্তুগাল ০
থোগান অ্যাজ়ারের অনবদ্য গোলে স্বপ্নভঙ্গ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। রবিবার রাতে পর্তুগালের বিরুদ্ধে বেলজিয়াম তারকার গোল দেখে অভিভূত। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের বাঁক খাওয়ানো শটে যে ভাবে থোগান বল জালে জড়িয়ে দিল, তা অবিশ্বাস্য।
রবিবার নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে চেক প্রজাতন্ত্রের দুর্দান্ত জয় দেখে বেলজিয়াম বনাম পর্তুগাল ম্যাচ দেখতে বসেছিলাম। এক দিকে ফিফা ক্রমতালিকায় শীর্ষে থাকা রোমেলু লুকাকুরা। বিপক্ষে গত বারের ইউরো চ্যাম্পিয়ন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোরা। এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে আগ্রহ তুঙ্গে ছিল ফুটবলপ্রেমীদের। কিন্তু খেলা দেখতে বসে একটু হতাশই হলাম। পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস আগের ম্যাচের মতোই ৪-৩-৩ ছকে দল সাজিয়েছিলেন। বেলজিয়ামের স্পেনীয় কোচ রবের্তো মার্তিনেস বেছে নিয়েছিলেন ৩-৪-২-১ ছক। সামনে একা লুকাকু। একটু পিছন থেকে কেভিন দ্য ব্রুইন ও এডেন অ্যাজ়ার। খেলা শুরু হওয়ার পরেই বুঝতে পারলাম বেলজিয়াম রীতিমতো অঙ্ক করে খেলতে নেমেছে। প্রথমত, পর্তুগালের ছন্দ নষ্ট করে দেওয়ার জন্য খেলার গতি কমিয়ে দিচ্ছিল। দ্বিতীয়ত রোনাল্ডোকে দু-তিন জন মিলে পাহারা দিচ্ছিল। ৩৮ মিনিটে দ্য ব্রুইনের পাস থেকেই নেই মুনিয়ের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। চার মিনিটের মধ্যে থোগানের সেই বিস্ময় গোল। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পরে বিরতিতে বার বার টেলিভিশন রিপ্লে-তে দেখছিলাম গোলটা। যত বার দেখেছি, তত বারই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। রাত জাগা সার্থক। তবে মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল রোনাল্ডোর জন্য। ইউরো ২০২০-তে কি এ ভাবেই শেষ হয়ে যাবে সি আর সেভেনের স্বপ্ন? আলি দাইকে টপকে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার কীর্তি গড়ার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে? এটাই কি রোনাল্ডোর শেষ ইউরো হয়ে গেল?
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার তিন মিনিটের মধ্যেই গোড়ালিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ে দ্য ব্রুইন। মনে হয়েছিল, পর্তুগালের পক্ষে এ বার খেলাটা সহজ হবে। কিন্তু এডেন একাই ঢেকে দিল দ্য ব্রুইনের অভাব। শেষ আটে ইটালির বিরুদ্ধে খেলতে হবে বেলজিয়ামকে। আরও একটা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের অপেক্ষায় থাকলাম!