অস্ট্রেলিয়ার উইকেট পড়ার পরে জিম্বাবোয়ের ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি: টুইটার
অঘটন ঘটাল জিম্বাবোয়ে। অস্ট্রেলিয়াকে তাদের দেশে হারিয়ে দিলেন সিকন্দর রাজারা। এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়াতে জিতল জিম্বাবোয়ে। তবে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার দখলে। ২-১ ফলে এক দিনের সিরিজ জিতলেন ফিঞ্চরা।
প্রথম দু’টি এক দিনের ম্যাচ জিতে যাওয়ায় সিরিজ আগেই পকেটে পুরে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও দলে খুব একটা বদল করেনি অস্ট্রেলিয়া। টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক রেগিস চাকাভা। সেই সিদ্ধাম্ত কাজে দিল। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার আর কোনও ব্যাটার দুই অঙ্কের সংখ্যায় পৌঁছতে পারেননি।
ওয়ার্নারকে দেখে মনে হল তিনি অন্য কোনও পিচে খেলছেন। যেখানে বাকিরা দাঁড়াতে পারছেন না, সেখানে সাবলীল ব্যাটিং করলেন তিনি। ওয়ার্নার না থাকলে অস্ট্রেলিয়ার লজ্জা আরও বাড়ত। অ্যারন ফিঞ্চ, স্টিভ স্মিথ, অ্যালেক্স ক্যারে, মার্কাস স্টোইনিস, ক্যামেরুন গ্রিন সবাই ব্যর্থ। বল হাতে দাপট দেখালেন জিম্বাবোয়ের বোলাররা। বিশেষ করে রায়ান বার্ল। লেগ স্পিনারের ঘূর্ণির জবাব ছিল না অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের কাছে।
ম্যাক্সওয়েল ও ওয়ার্নার কিছুটা জুটি বাঁধেন। তবে তাতে বিশেষ সুবিধা হয়নি। ম্যাক্সওয়েল ১৯ রান করে আউট হন। ওয়ার্নারকে ৯৪ রানের মাথায় আউট করে অস্ট্রেলিয়াকে সব থেকে বড় ধাক্কা দেন বার্ল। শেষ পর্যন্ত ৩১ ওভারে ১৪১ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
জিম্বাবোয়ের বোলারদের মধ্যে বার্ল মাত্র তিন ওভারে ১০ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন। ব্র্যাড ইভান্স নেন দুই উইকেট। এনগারাভা, এনিআউচি ও উইলিয়ামস একটি করে উইকেট নেন। লেগ স্পিনারের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা যে ভাবে উইকেট ছুড়ে এলেন তা চিন্তায় রাখবে দলের ম্যানেজমেন্টকে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবোয়ের দুই ওপেনার দলকে ভাল শুরু দেন। কাইটানো ও মারুমানি নতুন বলের সামনে ভালই খেলছিলেন। কিন্তু ১৯ রানের মাথায় জশ হ্যাজলউডের বলে কাইটানি আউট হয়ে যান। মারুমানি টিকে থাকলেও অন্য দিক থেকে উইকেট পড়ছিল। রান পাননি জিম্বাবোয়ের সেরা ব্যাটার সিকন্দর রাজা।
দেখে মনে হচ্ছিল, ১৪১ রান তাড়া করতেও সমস্যায় পড়বে জিম্বাবোয়ে। কিন্তু সেটা হতে দিলেন না অধিনায়ক রেগিস চাকাভা। মারুমানির সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। মারুমানি ৩৫ রান করে আউট হওয়ার পরে নীচের দিকের ব্যাটারদের সঙ্গে নিয়ে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৯ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় জিম্বাবোয়ে। অধিনায়ক চাকাভা ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।