Jamai Sasthi Celebration

জামাইষষ্ঠীতে ঋদ্ধি, ছুটি কাটিয়ে কলকাতায় ফিরেই পেলেন জামাইআদর

ক্রিকেট থেকে দূরে রয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। আইপিএল জয়ের পর ঘুরতে গিয়েছিলেন দুবাইতে। কথা চলছে অন্য রাজ্যের সঙ্গে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২২ ১৭:০৩
পরিবারের সঙ্গে ঋদ্ধি।

পরিবারের সঙ্গে ঋদ্ধি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

অবশেষে জামাইষষ্ঠীর খাবার খেলেন ঋদ্ধিমান সাহা। রবিবার শ্বশুর, শাশুড়ি জামাইষষ্ঠী খাওয়ালেন ঋদ্ধিকে। সেখানে কি আর বাদ যায় বাকি পরিবার! তাই ছিলেন ঋদ্ধির স্ত্রী দেবারতি (রোমি), মেয়ে আনভি, ছেলে অনভয়। সবাইকে নিয়ে বালিগঞ্জের এক রেস্তরাঁয় পালন হল ঋদ্ধির জামাইষষ্ঠী।

৫ জুন ছিল জামাইষষ্ঠী। কিন্তু সেই দিন স্ত্রী, ছেলে, মেয়েকে নিয়ে দুবাই বেড়াতে চলে গিয়েছিলেন ঋদ্ধি। তাই শাশুড়ি আপ্যায়ন করতে পারেননি জামাইকে । সেই আক্ষেপ মিটল রবিবার দুপুরে। বাঙালি পদেই আপ্যায়ন করা হয় ঋদ্ধিকে। তাঁর পাতে ছিল লুচি, মাংস।

Advertisement

গুজরাত টাইটান্সকে আইপিএল জিতিয়েছেন তিন সপ্তাহ আগে। এর পর ছুটি কাটাতে সপরিবার দুবাই যান তিনি। সেখানে ছুটি কাটিয়ে ফিরেছেন মঙ্গলবার। ক্রিকেট থেকে কিছু দিন দূরেই ছিলেন। রোমি বললেন, “আমি চেয়েছিলাম ও ছ’মাস পরিবারকে সময় দিক। তার কিছুটা হল। এর পর কী হবে জানি না। সামনেই ঘরোয়া ক্রিকেটের মরসুম শুরু হয়ে যাবে।” ঋদ্ধি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি বাংলার হয়ে খেলবেন না। অন্য রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থার সঙ্গে কথা চলছে তাঁর। ক্লাবে অনুশীলন করছেন ঋদ্ধি।

জামাইষষ্ঠীতে ঋদ্ধি।

জামাইষষ্ঠীতে ঋদ্ধি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

দুবাইয়ে ছুটি কাটানোর বিভিন্ন ছবি ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন ঋদ্ধি ও রোমি। কোনওটা অ্যাটলান্টিস ওয়াটার পার্কে, কোনওটা বুর্জ খলিফায়।

আইপিএল ফাইনালের আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে রোমি বলেছিলেন, “আমদাবাদ থেকে ফিরলে বলব ছ’মাস বাড়িতে থাকতে। আমাদের সঙ্গে থাকুক। পরিবারকে সময় দিক।” সেটাই করছেন ঋদ্ধি। পরিবারকে সময় দিচ্ছেন। দুবাই থেকে ফিরেও পরিবারের সঙ্গেই দেখা যাচ্ছে তাঁকে।

পরের বছর আইপিএলের আগে ঋদ্ধিকে কোন দলের জার্সিতে দেখা যাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাংলার হয়ে তিনি খেলবেন না তা স্পষ্ট। অন্য রাজ্যের হয়ে খেলতে দেখা যেতে পারে ঋদ্ধিকে।

রঞ্জির গ্রুপ পর্বে না খেলার জন্য বাংলার এক কর্মকর্তা ঋদ্ধির দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই সময় ভারতীয় দল থেকে বাদ যান ঋদ্ধি। এর পরে তাঁকে রঞ্জি নক আউট পর্বের দলে রাখা হয়। কিন্তু অভিযোগ ওঠে ঋদ্ধির সঙ্গে কথা না বলেই তাঁকে দলে রাখা হয়েছে। সিএবি-র তরফ থেকেও প্রশ্ন তোলা হয়, কেন এক জন ক্রিকেটারকে জিজ্ঞেস করতে হবে তাঁকে দলে নেওয়ার আগে। এই সব কিছুর মাঝেই ঋদ্ধি জানান তিনি বাংলার হয়ে খেলবেন না। সিএবি-র কাছে মৌখিক ভাবে তিনি ছাড়পত্র চেয়েছেন। কিছু দিনের মধ্যে সেই ছাড়পত্র নিয়েও আসবেন তিনি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।

আরও পড়ুন
Advertisement