শতরানের পর জো রুট। ছবি: পিটিআই।
ভারতের বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টে প্রচলিত ‘বাজ়বল’ ঘরানার দিকে হাঁটলেন না জো রুট। ধ্রুপদী ক্রিকেট খেলেই শতরান করলেন এবং রানে ফিরলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক। তবে ইনিংস নয়, শতরানের পর রুটের একটি বিশেষ ধরনের উচ্ছ্বাস নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সাজঘরে বসে থাকা স্টোকসকেও দেখা যায় একই রকম উচ্ছ্বাস করতে। কী কারণে বিশেষ ধরনের উচ্ছ্বাস করলেন তাঁরা।
শতরানের পরেই সাজঘরের দিকে তাকিয়ে আঙুলের সাহায্যে একটি বিশেষ মুদ্রা তৈরি করেন। বিশেষ ভাবে হাতের কড়ে আঙুলটি তুলে ধরেন। পরে জানা যায়, সেটি প্রয়াত গায়ক এলভিস প্রেসলিকে মাথায় রেখেই করা। তাঁর জীবনীচিত্রের অভিনেতা অস্টিন বাটলারকে ও রকমই আঙুলের মুদ্রা করতে দেখা গিয়েছিল। সেটাই অনুকরণ করেছেন রুট এবং স্টোকস। অতীতে এজবাস্টন টেস্টেও একই কাজ করেছিলেন তাঁরা।
এজবাস্টনের সেই ম্যাচের পর রুট বলেছিলেন, “জীবনে কোনও দিন নিজেকে রকস্টার ভাবিনি। কিন্তু আজ ১০ সেকেন্ডের জন্য সেটাই মনে হয়েছে নিজেকে। তার জন্যই পিঙ্কি সেলিব্রেশন করেছিল। গত কালই এলভিস প্রেসলির সিনেমা দেখছিল বেন (স্টোকস)। তাই এটা ওঁকে একটা উৎসর্গ।”
অতীতে রুটকে ‘রকস্টার’ বলে সম্বোধন করেছিলেন স্টোকস। সেই প্রসঙ্গে রুট বলেছিলেন, “আমার ভিতরে থাকা ইয়র্কশায়ারের লোকটা বার বার বলছিল ধরে খেলতে। কিন্তু আমার পাশে একজন অধিনায়কও রয়েছে যে বলেছেন, ‘রকস্টার হয়ে ওঠো’। মাঝেমাঝে দু’জনের মধ্যে লড়াই হয়।”