আমদাবাদ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শতরান করেছেন বিরাট কোহলি। শতরানের পরে উল্লাস বিরাটের। —ফাইল চিত্র
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের পরে ২০২৩ সালের মার্চ। দীর্ঘ ৩ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে বিরাট কোহলিকে। লাল বলের ক্রিকেটে আরও এক বার তিন অঙ্কের রান করেছেন তিনি। আমদাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শতরান করে তাঁর মুক্তির আনন্দ হয়েছিল। এত দিনে সেই বিষয়ে মুখ খুললেন বিরাট।
আইপিএলে দীর্ঘ দিনের সতীর্থ এবি ডিভিলিয়ার্সের ইউটিউব চ্যানেলে এ কথা বলেছেন বিরাট। তাঁর মতে, আমদাবাদে শতরান করার পরে মানসিক ভাবে অনেক বদল এসেছে তাঁর। বিরাট বলেছেন, ‘‘যখন আমি আমদাবাদে শতরান করলাম, তখন আমার মনে একটা অদ্ভুত শান্তি এসেছিল। মুক্তির শান্তি। অনুশীলনের সময় মনের মধ্যে কোনও চাপ কাজ করছিল না। সব মিলিয়ে মন অনেক বেশি ফুরফুরে ছিল।’’
সাদা বলের ক্রিকেটে এশিয়া কাপে শতরান করলেও লাল বলের ক্রিকেটে বড় রান করার জন্য আরও বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছে বিরাটকে। টেস্টে ভাল করতে মুখিয়ে ছিলেন তিনি। ছটফট করছিলেন ভিতরে ভিতরে। বিরাট বলেছেন, ‘‘ডিভিলিয়ার্সের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। ও জানে আমি টেস্ট ক্রিকেটকে কতটা গুরুত্ব দিই। সাদা বলের ক্রিকেটে শতরান করলেও লাল বলের ক্রিকেটে শতরানের জন্য ছটফট করছিলাম। শেষ পর্যন্ত পেয়েছি।’’
শতরান না পেলেও রান পাচ্ছিলেন বিরাট। কিন্তু তাতে খুশি ছিলেন না ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। তিনি মনে করেন, শতরান করা মানে দলের কাজে লাগতে পারা। সেটাই করতে পারছিলেন না তিনি। মনখারাপ ছিল তাঁর। বিরাট বলেছেন, ‘‘আমি রান পাচ্ছিলাম। কিন্তু আনন্দ পাচ্ছিলাম না। শতরান করে দলের কাজে লাগতে চাইছিলাম। কারণ, শতরান করার মানে প্রতিপক্ষের উপরেও একটা চাপ রাখতে পারা। আমদাবাদে সেটা করতে পেরেছি।’’
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে বড় রান করলেও এক দিনের সিরিজ়ে এখনও পর্যন্ত রান আসেনি বিরাটের ব্যাট থেকে। প্রথম দু’টি এক দিনের ম্যাচে ব্যর্থ তিনি। এক দিনের সিরিজ় ১-১ ব্যবধানে রয়েছে। বুধবার চেন্নাইয়ে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে খেলতে নামবে দু’দল। সেই ম্যাচেই হবে সিরিজ়ের ফয়সালা।