বিরাট কোহলি। — ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ দিন ধরেই বিরাট কোহলির ভক্ত তিনি। স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখেছেন অনেক ম্যাচ। বিশ্বকাপের আগে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে অভিনব উপহার দিতে চাইছেন গুজরাতের এক হিরে ব্যবসায়ী। কোহলিকে ১.০৪ ক্যারাটের হিরে দিয়ে তৈরি একটি ব্যাট উপহার দিতে চাইছেন তিনি।
ভারতের প্রতিটি কোণেই ছড়িয়ে রয়েছেন কোহলি-ভক্তেরা। যাঁরা কোহলির কাছাকাছি পৌঁছতে পারেন কোনওক্রমে, তাঁরা নিজেদের সাধ্যমতো উপহার দেন। উৎপল মিস্ত্রি নামে ওই ব্যবসায়ী বাকিদের থেকে একটু আলাদা হতে চাইছেন। সুরাতে হিরে বিশেষজ্ঞের কাজ করেন তিনি। খুদে ক্রিকেটার হওয়া থেকে শুরু করে কোহলির উত্থান দেখেছেন তিনি।
ওই ব্যাটের বাজারমূল্য ১০ লাখ টাকা। শোনা গিয়েছে, ব্যাটটি ৫ মিলিমিটার থেকে ১৫ মিলিমিটার চওড়া। উৎপল নিজেই ব্যাট তৈরির খুঁটিনাটি দেখেছেন। আপাতত শংসাপত্রের জন্যে পাঠানো হয়েছে ব্যাটটি। অনুমতি পেলেই কোহলির হাতে সেই ব্যাট তুলে দেওয়া হবে।
এক ওয়েবসাইটে উৎপল বলেছেন, “দেশের সেরা ক্রিকেটারকে প্রাকৃতিক হিরে দিয়ে তৈরি একটা ব্যাট উপহার দিতে চাই। প্রাকৃতিক হিরে এবং পরীক্ষাগারে তৈরি হিরের মধ্যে পার্থক্য যন্ত্রই সবচেয়ে ভাল ভাবে করতে পারে। চোখে দেখে সেটা বোঝা সম্ভব নয়। হিরে ব্যবসায়ী হিসাবে কোহলিকে ব্যাটটা উপহার দেওয়ার আগে বলে দিতে চাই যে এটা প্রাকৃতিক হিরে দিয়ে তৈরি।”
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ বছর পূর্ণ হয়েছে কোহলির। বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ রয়েছে। প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি পাকিস্তান। সেখানে ভাল খেলার লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন কোহলি। কিছু দিন আগে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেন, “এই ম্যাচের আবহাওয়াটাই আলাদা রকমের। মাঠের বাইরে দর্শকেরা সেই পরিস্থিতি তৈরি করেন। সেটাকে অস্বীকার করা যায় না। যখন খেলতে নামি, তখন যদিও মনে হয় না যে এই ম্যাচ আলাদা। বাইরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেটা ক্রিকেটারদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু ক্রিকেটারদের তাতে ভেসে যাওয়া উচিত নয়। উপভোগ করা উচিত। সেটাই আমাদের কাজ।”
গত বছর ২৩ অক্টোবর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে নেমেছিল ভারত। মেলবোর্নের সেই ম্যাচের সাক্ষী ছিলেন কোটি কোটি মানুষ। এমন একটি ম্যাচে পাকিস্তানের ১৫৯ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতেছিল ভারত। বিরাট অপরাজিত ছিলেন ৫৩ বলে ৮২ রান করে। সেই ম্যাচের কথা ভুলতে পারেননি বিরাট। নিজের সেই ম্যাচের একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, “২৩ অক্টোবর, ২০২২ দিনটা আমার হৃদয়ের খুব কাছের। কোনও ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে নেমে এত তরতাজা বোধ করিনি। কী দারুণ একটা সন্ধে ছিল!”