সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (বাঁ দিকে) এবং বিরাট কোহলি। — ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপের আগেই বিরাট কোহলিকে ক্রিকেট ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন শোয়েব আখতার। তিনি জানিয়েছিলেন, নিজের মধ্যে শক্তি বাঁচিয়ে রাখতে কোহলির উচিত আগামী দিনে সীমিত ওভারের ক্রিকেট ছেড়ে দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে মন দেওয়া। এ বার তার জবাব দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মতে, কোহলি কোন ফরম্যাটে খেলবেন এবং কোনটা ছাড়বেন সেই সিদ্ধান্ত তাঁর উপরেই ছেড়ে দেওয়া উচিত।
সৌরভ বলেছেন, “কেন সীমিত ওভারের ক্রিকেট ছাড়তে যাবে কোহলি? ও যে ফরম্যাটে যত দিন খুশি খেলতে পারে। ও তো প্রত্যেকটা ফরম্যাটেই পারফর্ম করে।” সৌরভ অতীতে বোর্ড সভাপতি থাকাকালীন কোহলির সঙ্গে বিবাদ থাকতেই পারে। কিন্তু ক্রিকেটার কোহলির প্রশংসা বরাবরই করে এসেছেন সৌরভ। সেই ঘটনাই আরও এক বার দেখা গেল।
শোয়েবের মতে, সচিনের ১০০টি শতরানের রেকর্ড স্পর্শ করার ক্ষমতা রয়েছে কোহলির। সে জন্য কোহলিকে অন্তত আরও ছ’বছর খেলতে হবে। এক দিনের বিশ্বকাপ নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে শোয়েব বলেছেন, ‘‘কোহলিকে আরও বছর ছয়েক খেলতে হবে। কোহলিই পারে সচিনের রেকর্ড ভাঙতে। সে জন্য কোহলির উচিত আসন্ন বিশ্বকাপের পর শুধু টেস্ট ক্রিকেটে মন দেওয়া।’’ এই কথারই বিরোধিতা করেছেন সৌরভ। স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিন ফরম্যাটেই সমানতালে খেলে যেতে পারেন কোহলি।
তার আগে বিশ্বকাপে ভারতের চার নম্বর স্থান নিয়ে কথা বলেছিলেন সৌরভ। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের মত ছিল, রোহিত শর্মাদের বেশি চিন্তা করার বা ভয় পাওয়ার দরকার নেই। কারণ, চার নম্বরে খেলার মতো অনেক ব্যাটার রয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৌরভ বলেছিলেন, ‘‘কে বলল আমাদের দলে চার নম্বর ব্যাটার নেই? ওখানে খেলার মতো অনেক ব্যাটার রয়েছে। এখন ভারতে অনেক ব্যাটার। তার মধ্যে তিলক বর্মা অন্যতম। কারণ ও বাঁ হাতি। ভারতীয় দলে বাঁ হাতি কম। তাই শ্রেয়স খেলতে না পারলে তিলককে চার নম্বরে খেলানো যেতে পারে।’’
ভারতের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে অভিষেক হয়েছিল তিলকের। প্রথম তিন ম্যাচে ৩৯, ৫১ ও ৪৯ রান করেছেন তিনি। যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছিল তিলককে। ভারতীয় ব্যাটারের প্রশংসা করেছিলেন সৌরভও। তিনি বলেছিলেন, ‘‘তিলকের অভিজ্ঞতা কম হতে পারে, কিন্তু তাতে খুব একটা সমস্যা হবে না। কারণ, তিলক আইপিএল খেলেছে। বড় ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তাই এত তাড়াতাড়ি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানিয়ে নিতে পেরেছে। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারে।’’