David Warner

সিডনি টেস্টের পর ওয়ার্নারকে ‘শয়তান’ বললেন খোয়াজা! ৩১ বছরের বন্ধুত্বে কি ফাটল ধরল?

ছ’বছর বয়স থেকে বন্ধু ওয়ার্নার এবং খোয়াজা। ক্রিকেট শেখা থেকে জাতীয় দল— ৩১ বছর কাটিয়েছেন পাশাপাশি। ওয়ার্নারের শেষ টেস্টের পর তাঁকে ‘শয়তান’ বললেন অসি ওপেনার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৪৩
picture of David Warner

ডেভিড ওয়ার্নার। —ফাইল চিত্র।

‘শয়তান’-র অবসর মেনে নিতে পারছেন না উসমান খোয়াজা। ৩১ বছর পর ২২ গজের বন্ধুত্বে বিচ্ছেদ। ওয়ার্নারের অবসরে মন খারাপ অস্ট্রেলীয় ওপেনারের। সিডনিতে পাকিস্তানকে তৃতীয় টেস্টে হারানোর পর খোয়াজা শোনালেন অজানা গল্প।

Advertisement

জাতীয় দলে খেলার অনেক আগে থেকে ওয়ার্নারের সঙ্গে বন্ধুত্ব খোয়াজার। ক্রিকেট শেখার সময় থেকে জাতীয় দল— তিন দশকের বেশি সময় এক সঙ্গে খেলছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার। তাঁদের বন্ধুত্বের কথা প্যাট কামিন্সেরা সকলেই জানেন। ইনিংসের শুরুতে প্রিয় বন্ধুকে আর ২২ গজের অপর প্রান্তে পাবেন না, ভাবতে পারছেন না খোয়াজা।

শেষ বারের মতো সিডনির মাঠ ছাড়ার সময় ওয়ার্নার জড়িয়ে ধরেন খোয়াজার মাকে। তিনিও সন্তানসম ওয়ার্নারকে কাছে টেনে নেন। আবার খেলা শেষে ওয়ার্নার এবং খোয়াজার পরিবার এক সঙ্গে ছবিও তুলেছে। দলের এক সতীর্থের সঙ্গে ওয়ার্নারের ঘনিষ্ঠতা ক্রিকেটপ্রেমীদের নজরও এড়ায়নি। পরে ঘনিষ্ঠতার রহস্য ফাঁস করেছেন খোয়াজা।

অসি ব্যাটার বলেছেন, ‘‘ছোট থেকেই আমরা ভাল বন্ধু। এক সঙ্গে খেলা শিখেছি স্থানীয় ক্লাবে। এক সঙ্গে ব্যাগি গ্রিন টুপি পড়ার স্বপ্ন দেখেছি। আমাদের দু’জনের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িতও হয়েছে। এমন নয় যে আমাদের সামনে কোনও বাধা আসেনি। আমরা সেগুলো অতিক্রম করেছি। ব্যক্তিগত ভাবে নানা চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয়েছে। ক্রিকেটজীবনে দু’জনেরই খারাপ সময় এসেছে। সে সময় পরস্পরের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’’

শনিবার টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ৩৭ বছরের ওয়ার্নার। ক্রিকেটজীবন শেষ করে এগিয়ে যান খোয়াজার মায়ের দিকে। এ নিয়ে অসি ওপেনার বলেছেন, ‘‘আমার মাকে ওয়ার্নার জড়িয়ে ধরেছে। আসলে আমি মাকে যত দিন চিনি, ওয়ার্নারও প্রায় তত দিনই চেনে আমার মাকে। ওকে ভীষণ ভালবাসেন আমার মা। উনি ওকে ডাকেন শয়তান বলে। মানে ডেভিল। অনেক সময় সাটান বলেও ডাকেন। আমার মা ওকে সন্তানের মতোই স্নেহ করেন।

ছ’বছর বয়স থেকে বন্ধু ওয়ার্নার এবং খোয়াজা। দু’জনের পরিবারের মধ্যেও রয়েছে দারুণ সম্পর্ক। এবসর সময় এক সঙ্গে ঘুরতে বা রেস্তরাঁয় খেতে যান তাঁরা। কঠিন সময় খোয়াজার মা সব সময় সাহস দিতেন ওয়ার্নারকে। বল বিকৃতিতে অভিযুক্ত ওয়ার্নারকে মানসিক ভাবে তরতাজা রাখার চেষ্টা করতেন খোয়াজার মা। ক্রিকেটজীবন শেষ করে সেই কৃতজ্ঞতা জানাতেই বন্ধুর মাকে সবার সামনে জড়িয়ে ধরেন ওয়ার্নার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement