ঋদ্ধিমান সাহা। —ফাইল চিত্র।
বিরাট কোহলি, রবি শাস্ত্রীর জমানা শেষ হওয়ার পর থেকেই ভারতীয় দলের বাইরে ঋদ্ধিমান সাহা। সিএবি কর্তাদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় বাংলা ছেড়ে ঋদ্ধিমান এখন ত্রিপুরার ক্রিকেটার। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে, নিজের রাজ্য ছাড়তে হলেও ক্রিকেটীয় দক্ষতা কমেনি উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের। গোয়ার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে সেটাই প্রমাণ করলেন ঋদ্ধিমান।
২০২৩-২৪ মরসুমে ত্রিপুরাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঋদ্ধিমান। টস জিতে গোয়ার অধিনায়ক দর্শন মিসাল প্রথমে ফিল্ডিং নেন। প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে সুযোগ হাত ছাড়া করেননি ত্রিপুরার ব্যাটারেরা। তিন নম্বরে নামা শ্রীদাম পাল করেন ১১২ রান। পরে ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ত্রিপুরার ইনিংসকে টানলেন ঋদ্ধিমান। অল্পের জন্য নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করলেন অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। মোহিত রেডকরের বলে আউট হওযার আগে ঋদ্ধিমানের ব্যাট থেকে এল ৯৭ রানের নিখুঁত ইনিংস। ১৫৪ বলের ইনিংসে ১৪টি চার মেরেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত গোয়ার বিরুদ্ধে ত্রিপুরা করে ৪৮৪ রান।
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটরক্ষক এবং অধিনায়কের ভূমিকাতেও উজ্জ্বল শিলিগুড়ির বাসিন্দা। তাঁর চতুর বোলিং পরিবর্তন এবং ফিল্ডিং পরিকল্পনায় চাপে গোয়ার প্রথম ইনিংস। ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছেন অর্জুন তেন্ডুলকরেরা। উইকেটের পিছনে একটি ভাল ক্যাচও নিয়েছেন ৩৯ বছরের উইকেটরক্ষক।
ভারতীয় দলের পরিকল্পনা থেকে আগেই বাদ পড়েছেন ঋদ্ধিমান। টেস্ট দলে উইকেটরক্ষক হিসাবে দেখা যাচ্ছে লোকেশ রাহুল, ইশান কিশনদের। সুস্থ হয়ে ২২ গজে ফেরার অপেক্ষায় ঋষভ পন্থও। তবু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ টেস্টের সিরিজ়ের আগে ঋদ্ধিমানের ৯৭ রানের ইনিংস জাতীয় নির্বাচকদের জন্য বিকল্প বৃদ্ধি করতে পারে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা না থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে ঋদ্ধিমানের আন্তরিকতার অভাব নেই। আগামী আইপিএলে গুজরাত টাইটান্সের হয়েও খেলবেন তিনি।