রোহিতের কাঁধে কোহলি। ছবি টুইটার
নিজে ব্যর্থ হয়েছেন। তার পরে ম্যাচে ঘটে গিয়েছে অনেক কিছু। শেষ পর্যন্ত বিরাট কোহলির অসামান্য ইনিংসের সৌজন্যে জিতেছে ভারত। ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে রোহিত শর্মার উদ্দেশে প্রায় সব প্রশ্নই উড়ে এল কোহলিকে নিয়ে। ভারত অধিনায়ক নির্দ্বিধায় বলে দিলেন, শুধু কোহলির নয়, ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কোনও ব্যাটারের খেলা এটাই সেরা ইনিংস।
এশিয়া কাপে রানে ফিরেছিলেন কোহলি। তার পরেও ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের ছন্দ নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল। আদৌ তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জ্বলে উঠতে পারবেন তো? পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছেন কোহলি। ম্যাচের পর তাঁর ছন্দ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই রোহিত বললেন, “এ বার তো এই প্রশ্ন করা ছাড়ুন। জীবনের সেরা ছন্দে রয়েছে ও। যে পরিস্থিতিতে আমরা ছিলাম এবং যে ভাবে জিতেছি, তাতে এটা শুধু বিরাটেরই নয়, ভারতের অন্যতম সেরা ইনিংস।”
কেন কোহলির ইনিংসকে সেরা বলছেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন রোহিত। বলেছেন, “১৩ ওভার পর্যন্ত আমরা ম্যাচে অনেক পিছিয়ে ছিলাম। রান রেট ক্রমশ বাড়ছিল। সেখান ওই ভাবে রান তাড়া করে জেতা বিরাটের অসামান্য প্রচেষ্টা ছাড়া সম্ভব হত না। হার্দিকেরও ভূমিকা রয়েছে।” কোহলির ছন্দ নিয়ে রোহিত আরও বলেছেন, “বিরাটকে দেখে কখনওই মনে হয়নি ও ছন্দ হারিয়েছে। যে ভাবে ব্যাটিং আগে করত সে ভাবেই করেছে। ওর ক্ষেত্রে প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকে। তাই ৩০-৪০ রান করলেই লোকের কথা বলা শুরু হয়ে যায়।”
Sport is a great teacher and when it comes to champions, the comeback is always greater than the setback. It is for moments like these that you play the game. Great performances by Arshdeep, Shami, Bhuvi & Hardik with the ball. Hardik brilliant in that partnership with Kohli 1/2 pic.twitter.com/aeOHDaPUm7
— VVS Laxman (@VVSLaxman281) October 23, 2022
রোহিতের সাফ কথা, রান করার জন্য কখনওই তাড়া দেওয়া হয়নি কোহলিকে। বলেছেন, “দলের তরফে বলতে পারি, এশিয়া কাপের সময় থেকেই মানসিক ভাবে অনেক ভাল জায়গায় রয়েছে ও। তার আগে এক মাস বিরতি নিয়েছে। অনেক তরতাজা হয়ে নেমেছে। এশিয়া কাপে শতরান করেছে। দুটো অর্ধশতরান রয়েছে। বিশ্বকাপের আগেও আমরা জানতাম ওকে সেরা ছন্দেই পাওয়া যাবে। এর আগে চাপের মুখে তিন ধরনের ফরম্যাটেই ও অসাধারণ খেলেছে। আজ নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছে। চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা রেখেছে। রান তাড়া করার ব্যাপারে ও কতটা ভাল, সেটা আমরা সবাই জানি। বিশ্বের অন্যতম সেরা।”
কোহলি এবং হার্দিকের অভিজ্ঞতাই যে ভারতকে জিতিয়েছে, সেটা আরও এক বার স্বীকার করে নিয়েছেন রোহিত। বলেছেন, “দু’জনেই চাপের মুখে অনেক ম্যাচ খেলেছে। তাই কী ভাবে পরিস্থিতি সামলাতে হবে, সেটা দু’জনেই জানত। সে ভাবেই খেলেছে।” হ্যারিস রউফকে ফ্লিক করে কোহলির ছয় মারা দেখেই রোহিত বুঝতে পেরেছিলেন ম্যাচটা ভারত জিতবে। বলেছেন, “ওই দুটো ছয়কে ম্যাচের মোড় ঘোরানো মুহূর্ত বলতে রাজি নই। তবে ওখানেই ম্যাচটা আমাদের দিকে চলে আসে। জানতাম যে এক ওভার স্পিন বোলিং পাব। সাজঘরে বলাবলি করছিলাম যে, শেষ ওভারে ১৫-১৮ বাকি থাকলেই বোলার চাপে থাকবে। সেটাই হয়েছে।”