বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে ফিল্ডিংয়ের অভিনয় করার অভিযোগ। —ফাইল চিত্র
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে ফিল্ডিংয়ের অভিনয় করার অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশের নুরুল হাসান। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সরকারি ভাবে এখনই এটা নিয়ে আইসিসির কাছে নালিশ জানাতে আগ্রহী নয়। যদিও ঠিক জায়গায় কথাটা জানানোর ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। কিন্তু বিরাট কি দোষী? তিনি কি আদৌ কোনও অন্যায় করেছেন? কী বলছে আইসিসির নিয়ম?
আইসিসির ৪১.৫ ধারা অনুযায়ী, ব্যাটারকে কোনও ভাবে বাধা দিলে বা মনঃসংযোগ নষ্ট করার চেষ্টা করলে আম্পায়াররা ঘটনার গুরুত্ব বুঝে বিপক্ষ দলকে ৫ রান শাস্তি হিসাবে দিতে পারেন। বিরাটের ক্ষেত্রে কী ঘটেছিল?
বুধবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত ফিল্ডিং করার সময় সপ্তম ওভারের একটি ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অক্ষর পটেলের বলে ডিপ অফ-সাইডে বল ঠেলে দিয়ে রান নিতে যান লিটন দাস। কোহলি দাঁড়িয়েছিলেন পয়েন্টে। আরশদীপ বল ছুড়ে ফেরত পাঠানোর সময়েই কোহলি বল কুড়িয়ে ছুড়ে দেওয়ার ভঙ্গি করেন। তা নিয়েই বিরাটের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশের নুরুল হাসান। এ ক্ষেত্রে মাঠের দুই আম্পায়ার মনে করেননি, কোহলি কোনও অপরাধ করেছেন। তাই শাস্তিও দেওয়া হয়নি।
So this is what Nurul Hassan was talking about that umpires didn't listen on fake fielding by Kohli. There should have been 5 penalty runs here - according to ICC rules. Virat kohli should be banned and fined for fake fielding. #T20WorldCuppic.twitter.com/KXLOy1g5cp
— 𝗭𝗨𝗡𝗔𝗜𝗥𝗔🏏 (@BabarFanGirl56) November 3, 2022
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্তা জালাল ইউনুস বলেন, “কিছু হলেই যে বোর্ডের মাধ্যমে অভিযোগ করা হবে, ব্যাপারটা এমন নয়। এটা তো স্কুল নয় যে, আপনি গিয়ে হেডমাস্টারের কাছে অভিযোগ করবেন। পরিস্থিতিটা সে রকম না। তবে আমরা যেন সঠিক জায়গায় গিয়ে কথা বলতে পারি, সেটা মাথায় আছে।”
মাঠের আম্পায়ারের নজর যদি কোনও ফিল্ডারের ভঙ্গির দিকে না যায় তা হলে শাস্তি দেওয়া সম্ভব নয়। বিরাট বল ছোড়ার সময় আম্পায়ার, ব্যাটাররা সে দিকে নজর দেননি। সে ক্ষেত্রে মাঠের ব্যাটারদের মনঃসংযোগ নষ্ট হয়নি বলেই ধরে নিতে হবে। বাংলাদেশের যে দুই ব্যাটার মাঠে উপস্থিত ছিলেন তাঁরা কোনও অভিযোগ জানাননি। তাই আম্পায়াররাও সেটার দিকে গুরুত্ব দেননি।
বুধবার ভারত প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৮৪ রান তোলে। লোকেশ রাহুল ৫০ রান করেন। বিরাট কোহলি অপরাজিত থাকেন ৬৪ রানে। ১৬ বলে ৩০ রান করেন সূর্যকুমার যাদব। সেই রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের জয়ের আশা বাড়িয়েছিলেন লিটন। তিনি ২৭ বলে ৬০ রান করে আউট হয়ে যান। বৃষ্টির জন্য এর পর বাংলাদেশের লক্ষ্য হয়ে যায় ১৬ ওভারে ১৫১ রান। কিন্তু ১৪৫ রানেই শেষ হয়ে যায় শাকিবদের ইনিংস। ৫ রানে ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে তাই বাংলাদেশের কাছে ওই ৫ রান না পাওয়ার আক্ষেপ রয়েই গিয়েছে।