এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলগত লড়াইয়ে সাফল্য পেয়েছে ভারতীয় দল। —ফাইল চিত্র
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নতুন বলে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। ভারতের এই পেসার পাওয়ার প্লে-তে অসাধারণ বল করেছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ভুবনেশ্বর হয়ে উঠতে পারেন রোহিত শর্মার সব থেকে বড় অস্ত্র। গ্রুপ পর্বে তাঁর বোলিংয়ের পরিসংখ্যান ভরসা জোগাচ্ছে ভারতকে।
এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের পাঁচ ম্যাচে মোট ১৬.৪ ওভার বল করেছেন ভুবনেশ্বর। মোট রান দিয়েছেন ৯০। উইকেট নিয়েছেন ৪টি। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন ভুবি। পরের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৩ ওভারে ৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবশ্য উইকেট পাননি ভারতের ডান হাতি পেসার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩.৪ ওভার বল করে ২১ রান দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাঁর ৩ ওভারে এসেছে ২৭ রান। গ্রুপের শেষ ম্যাচে জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে আরও এক বার উইকেটে ফিরেছেন ভুবনেশ্বর। ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট।
ভাল বল করার পাশাপাশি ভুবনেশ্বর নজর কেড়েছেন প্রতিটি ম্যাচের প্রথম ওভারে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ওভারে মাত্র একটি ওয়াইড বল করেছেন ভুবি। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে প্রথম ওভার মেডেন করেছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভুবির প্রথম ওভারে এসেছে ২ রান। জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে প্রথম বলেই উইকেট নিয়েছেন ভুবনেশ্বর। সেই ওভারে কোনও রান দেননি তিনি। অর্থাৎ, এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম ওভারে সব মিলিয়ে মাত্র ৬ রান দিয়েছেন তিনি। নিয়েছেন ১ উইকেট। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট নতুন বলে কতটা ভয়ঙ্কর বোলিং করেছেন ভুবি।
ভুবনেশ্বরের ভাল বোলিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তাঁর ডট বলের পরিসংখ্যান থেকেও। এ বারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত পাওয়ার প্লে-তে সব থেকে বেশি ডট বল করেছেন ভুবনেশ্বর। পাওয়ার প্লে-তে মোট ৬৬ বলের মধ্যে ৫১ বলে রান দেননি তিনি। অর্থাৎ, পাওয়ার প্লে-তে ৭৭.২ শতাংশ ডট বল করেছেন তিনি।
ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার তাঁদের সব থেকে বড় শক্তি। জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস শুরুটা ভাল করলে তাদের আটকানো কঠিন। তাই ইংল্যান্ডকে শুরুতে আটকে রাখতে রোহিতের সব থেকে বড় অস্ত্র ভুবনেশ্বর। এখন দেখার তিনি ইংল্যান্ডের ব্যাটিং আক্রমণকে আটকে রাখতে পারেন কি না।