চমক: মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দুই উইকেট ঋত্বিকের। ফাইল চিত্র
মাত্র ১৩১ রানে শক্তিশালী মুম্বইকে আটকে দিয়েছিল বাংলা। তবুও শেষরক্ষা হল না। ১২১-৮ স্কোরে আটকে গেলেন ঋদ্ধিমান সাহারা। বাংলা হারল ১০ রানে।
সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে মরসুমের প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের দল। শেষ দু’ম্যাচে বরোদা ও ছত্তীসগঢ়কে হারানোর পরে বাংলা শিবিরে আত্মবিশ্বাসের কোনও অভাব ছিল না। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে শুরুটাও দুর্দান্ত করেছিলেন শাহবাজ় আহমেদরা। বিধ্বংসী ওপেনার পৃথ্বী শ-কে শুরুতেই ফিরিয়ে দেন শাহবাজ়। অজিঙ্ক রাহানে শিকার ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়ের। এ দিন মুম্বইয়ের কোনও জুটিকেই বড় হতে দেননি বাংলার বোলাররা। ৯৯ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পরে শিবম দুবে ২৪ রান করে দলকে ১৩১ রানে পৌঁছে দেন। বাংলার বোলাররা ১০টি ওয়াইড বল না করলে আরও কম রান হতে পারত মুম্বইয়ের। সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী বলছিলেন, ‘‘দারুণ বল করেছি আমরা। কিন্তু অতিরিক্ত দশ রান দেওয়ার খেসারতই আজ দিতে হল। ব্যাটাররা আরও কিছুটা দায়িত্ব নিলে প্রথম তিনটি ম্যাচ জিতেই কর্নাটকের সঙ্গে টক্কর দিতে
পারতাম আমরা।’’
গ্রুপ থেকে দু’টি দল যাবে পরবর্তী পর্বে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি খেলবে কোয়ার্টার ফাইনালে। দ্বিতীয় হয়ে ওঠা দলকে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে শেষ আটে প্রবেশ করতে হবে। বাংলা তিন ম্যাচে দুটি জিতে এখনও সুবিধাজনক জায়গায়। তবে এই পরিস্থিতি থেকে শেষ দু’টি ম্যাচ জিততেই হবে সুদীপদের।
১৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৪ রানের মধ্যে চার উইকেট হারায় বাংলা। এক রান করে ফেরেন সুদীপ। ১৪ রান অভিষেক দাসের। তিন রান করেন কর্ণ লাল ও ঋদ্ধিমান সাহা ফিরে যান ১৫ রান করে।
সেই জায়গা থেকে কাইফ আহমেদ ও ঋত্বিক রায়চৌধুরী বাংলাকে ম্যাচে ফেরান ৫৪ রান যোগ করে। কিন্তু শেষ ওভারে যখন ২০ রান প্রয়োজন, তখন চারটি বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি আকাশ দীপ। সেখানেই বাংলার সব আশা শেষ।
কোচ অরুণ লাল বলছিলেন, ‘‘আশা করেছিলাম আমরা জিতব। শুরু থেকে বিপক্ষের উপরে চাপ সৃৃষ্টি করেও পারলাম না।’’